সম্রাট অশোকের রাজ্যের ব্যাপ্তি বোঝাতে ম্যুরালটি স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ মিশন ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে চাওয়া ব্যাখ্যার জবাবে নয়াদিল্লি এ তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
তিনি বলেন, ‘ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যা জানতে পেরেছি- সম্রাট অশোকের রাজ্যের ব্যাপ্তি এবং সেসময়ে সম্রাট অশোকের নেতৃত্বে সংগঠিত জবাবদিহিতামূলক এবং মানুষের উন্নয়ন ব্যবস্থার প্রতীকী হিসেবে আলোচিত ম্যুরালটি স্থাপিত হয়েছে।’
রফিকুল আলম বলেন, ‘এ ম্যুরালটি স্থাপনের মূল ভাবনা ছিল ঐতিহাসিক প্রাচীন ভারত। বিশেষত, সম্রাট অশোকের রাজত্বকে ফুটিয়ে তোলা। আমাদের জানানো হয়েছে- ম্যুরালটিতে অশোকের সাম্রাজ্য খচিত হয়েছে, যা কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘অখণ্ড ভারত’ নামে প্রচার করা হয়েছে।’
এদিকে, গত ৫ জুন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম জানান, ‘অখণ্ড ভারত’ নিয়ে ভারতের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা জানতে দিল্লিতে বাংলাদেশ মিশনকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা।
সম্প্রতি ভারতের নতুন সংসদ ভবনে ম্যুরালের মাধ্যমে ‘অখণ্ড ভারতের’ এক মানচিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সেই অখণ্ড ভারতের মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমার।
পূর্বকোণ/জেইউ