হন্টন
হাঁটছি যত পথের আড়ে মোড়ে
মিশছি ঘন লোকের কলরোলে
ঘামের ঘ্রাণ ভীষণ লাগে নাকে
হাজার গাড়ি পথেই থেমে থাকে
হাঁটছি ঠেলে স্রোতের মতো ভীড়
হরণ বাজে গানের মাঝে মীড়
রোদের তেজ দুপুর জুড়ে বাড়ে
চলার জোর হারাই পায়ের হাড়ে
ফুলছে হাঁটু সাগর যথা ফোঁসে
হাঁটছি তবু ধুলায় কেশে কেশে
এমন করে অযুত লাখো সাল
হেঁটেই লোকে পার করেছে কাল
চাঁদে অভিবাসী
হঠাৎ সসার এসে নেমেছে বাংলার মাঠে
জোড়া জোড়া তুলেছে মানুষ
নানা বয়সের নানা জাতি ও রঙের।
চাকতি কি ক্যাপসুল আকারে সসার
দেখতে কেমন সেটা এখনও জানে না কেউ—
সসারে বাঙালি তবু ছোটে চাঁদ এবং মঙ্গলে।
যেমন গিয়েছে ছুটে ইতালিতে
গ্রিসে মালয়েশিয়ায়
জাহাজের খোলের ভেতরে ঢুকে
লুকিয়ে লুকিয়ে।
বাঙালি থাকবে বলে চাঁদে জল ভেসে ওঠে অলৌকিক কূপে
শীতল বাতাস বহে আকস্মিক সুনামির বেশে।
আমার দেশের লোক যেনবা ব্যাঙাচি
বেড়ে গেছে কোটি কোটি—
এ খবর পত্রিকা ছাপেনি।
তবু যারা অন্তর্যামী তারা জানে
এদের আশ্রয় চাই চাঁদে কী মঙ্গলে।
পূর্বকোণ/এসি