শ্রাবণের বর্ষণমুখর দিনে ‘বই নয়, জ্ঞানের বিনিময়’ শ্লোগানে নগরীতে ভিন্নধর্মী বই বিনিময় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার নগরীর জামাল খানের শাহ ওয়ালিউল্লাহ ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। স্টোরিটেলিং প্ল্যাটফর্ম ফেইল্ড ক্যামেরা স্টোরিজ এ উৎসবের আয়োজন করে।
সকালে বই বিনিময় উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও উপসচিব শাব্বির ইকবাল। তিনি বই বিনিময় উৎসবের ধারণাকে আরও বেশি ছড়িয়ে দিতে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
বিকেলে উৎসবস্থল পরিদর্শন করেন শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, বরাবরের মতোই আমি এই বই বিনিময় উৎসবের ধারণাকে বাহবা দিয়ে আসছি। এই ধরনের বই বিনিময় উৎসব যতবেশি হবে ততবেশি আমরা উন্নত হব, জ্ঞানচর্চা যেকোন জাতিরই উন্নতির মানদণ্ড।
বই বিনিময় উৎসব পরিদর্শন শেষে দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, এই উৎসবে বিনামূল্যে বই বিনিময় করা যাচ্ছে- এটি আমাদের পাঠকদের জন্য দারুণ এক সুযোগ। জ্ঞানচর্চায় আমরা যে পিছিয়ে নেই, আমাদের তরুণেরাও যে সৃজনশীল চিন্তা করতে পারেন, তারই এক স্বাক্ষর এই আয়োজন।
কথাসাহিত্য, প্রবন্ধ ও অন্যান্য, ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন, কবিতা, ক্যারিয়ার ও বিজ্ঞান সমগ্র, জাফর ইকবাল ও হুমায়ুন আহমেদ, শিশুতোষ ও ম্যাগাজিন, একাডেমিক, আত্মজীবনী, ইতিহাস ও রাজনীতিসহ মোট ১১টি স্টলে সাজানো দিনব্যাপী এ বই বিনিময় উৎসবে ১৪ হাজার বই বিনিময়ের কথা জানান আয়োজকেরা।
ফেইল্ড ক্যামেরা স্টোরিজের পরিচালক ও বই বিনিময় উৎসবের সমন্বয়ক সাইদ খান সাগর জানান, পাঠকদের বইয়ের প্রতি আরও বেশি মনোযোগী করে তুলতেই এ আয়োজন। কেউ যখন বিনামূল্যেই তার অপঠিত বইটি বিনিময়ের মাধ্যমে পাচ্ছেন তখন তিনি তার জ্ঞানচর্চাকে অব্যাহত রাখতে পারছেন।
তিনি বলেন, বই বিনিময়ের ধারণা নতুন কিছু নয়। স্কুলজীবনে বন্ধুদের সাথে আমরা তিন গোয়েন্দা সিরিজের বইগুলো যেভাবে বিনিময় করে নিতাম, এই আয়োজন তারই এক আনুষ্ঠানিক সংস্করণ। চলমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় বইপ্রেমী মানুষদের জন্য এর থেকে ভালো উপহার আর কিছুই হতে পারে না।
পূর্বকোণ/মাহমুদ