চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

হিমালয় বাঁচাতে তৎপর নেপাল

আবর্জনার গ্রাসে এভারেস্ট শৃঙ্গ

পূর্বকোণ ডেস্ক

১৩ মে, ২০১৯ | ১২:৫৯ অপরাহ্ণ

বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট। এই এভারেস্ট জয় নিয়ে মানবজাতির উৎসাহের শেষ নেই। নিশাত মজুমদার, ওয়াসফিয়া নাজরিন, এম এ মুহিত, মূসা ইব্রাহীম নামগুলোর জনপ্রিয়তা আর আকর্ষণের পেছনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে এই শ্বেতশুভ্র তুষারশৃঙ্গ। তবে শুধু উচ্চতায় নয় পৃথিবীর সর্বোচ্চ আবর্জনা ফেলার জায়গাও এখন এভারেস্ট শৃঙ্গ!

আবর্জনার হাত থেকে হিমালয়কে বাঁচাতে গত এপ্রিল মাস থেকে হিমালয়ে সাফাই অভিযান শুরু করেছে নেপাল প্রশাসন। তাতে ইতিমধ্যেই ৫ টন, অর্থাৎ পাঁচ হাজার কেজি জঞ্জাল উদ্ধার হয়েছে পৃথিবীর এই সর্বোচ্চ শৃঙ্গ থেকে। নেপালের পর্যটন দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল ডান্ডু রাজ ঘিমিরে বলেন ‘‘আবর্জনার স্তূপে কী নেই! অক্সিজেন সিলিন্ডার, টিনের পাত্র, প্লাস্টিক ব্যাগ, জিনিসপত্র এমনকি মানব-বর্জ্যও রয়েছে।’’

১৪ এপ্রিল নেপালি নববর্ষের প্রথম দিনে শুরু হয় ৪৫ দিন ব্যাপী ‘স্বচ্ছ এভারেস্ট অভিযান’ । অভিযানের পিছনে রয়েছে সোলুখুম্বু জেলার খুম্বু পাসাংলামু রুরাল মিউনিসিপ্যালিটি। তাদের অনুমান, সব মিলিয়ে অন্তত ১০ হাজার কেজি আবর্জনা পাওয়া যাবে এভারেস্ট থেকে। এভারেস্টের পথে আটকে পড়ে মারা যাওয়া অভিযাত্রীদের মৃতদেহও উদ্ধার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই চারটি দেহ চিহ্নিত করেছে উদ্ধারকারী দল। সব মিলিয়ে এ অভিযানে খরচ পড়বে অন্তত ২ কোটি ৩০ লক্ষ নেপালি অর্থ।

প্রশাসনের দাবি, প্লাস্টিক থেকে শুরু করে এসব জৈব বর্জ্য প্রায় কয়েক দশক ধরে পড়ে রয়েছে এভারেস্টে। অভিযাত্রীদেরই এর জন্য দায়ী করেছে প্রশাসন। ১৪ এপ্রিল শুরু হয়েছিল অভিযান। ৮ মে পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার কেজি বর্জ্য পাওয়া গিয়েছে। আকাশপথে ওই আবর্জনা সরিয়ে আনছে সেনাবাহিনী। জুনের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই অভিযান শেষ হবে সব কিছু পরিকল্পনা মাফিক চললে ।

প্রতি বছর কয়েকশো অভিযাত্রী ও শেরপা এভারেস্ট অভিযানে যান। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে বেঁচে যাওয়া খাবার, বিয়ারের বোতল ফেলে রেখে চলে আসেন তাঁরা। আবর্জনার এই স্তূপ থেকে হিমালয়কে বাঁচাতে মরিয়া নেপাল।

 

শেয়ার করুন