
দুর্নীতির অভিযোগে পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট মার্তিন ভিজকারাকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
কয়েক বছর আগে গভর্নর থাকাকালে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় গতকাল বুধবার এ রায় দেওয়া হয়। এর ফলে দুর্নীতির অভিযোগে জড়িত পেরুর সাবেক নেতাদের দীর্ঘ তালিকায় আরও একটি নাম যুক্ত হলো।
২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পেরুর দক্ষিণাঞ্চলের মোকেগার গভর্নর ছিলেন ভিজকারা। সেসময় সরকারি কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে বিভিন্ন নির্মাণ কোম্পানির কাছ থেকে ৬ লাখ ৭৬ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ ঘুষ নেওয়ার দায়ে এ তাকে এ দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবর থেকে তার বিচার শুরু হয়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভিজকারা নিজেকে নির্দোষ দাবি করে গেছেন। তার ভাষ্য, তিনি রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার। পূর্বসূরীর পদত্যাগের পর ২০১৮ সালে তিনি লাতিনের দেশটির প্রেসিডেন্ট হন। তবে তার দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু হলে দুই বছরের মাথাতেই কংগ্রেস তাকে পদচ্যুত করে।
“এটা বিচার নয়, প্রতিশোধ। কিন্তু তারা আমাকে ভাঙতে পারবে না,” রায় ঘোষণার পর এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন ভিজকারা।
রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ভিজকারাকে সরকারি দায়িত্বে ৯ বছরের জন্য নিষিদ্ধও করা হয়েছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন ভিজকারার আইনজীবীরা। তার বড় ভাই মারিও ভিজকারা আগামী বছরের এপ্রিলে হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘পেরু ফার্স্ট’ দল থেকে নির্বাচনের পরিকল্পনা করছেন। মার্টিন ভিজকারা এ দলটির উপদেষ্টার ভূমিকায় ছিলেন।
“ভোট কক্ষে এর জবাব থাকবে। আমার ভাই মারিও ভিজকারা লড়াই চালিয়ে যাবেন,” বলেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট।
ভিজকারাকে লিমার সেই কারাগারে নিয়ে যাওয়া হতে পারে যেখানে আগে থেকেই সাবেক তিন প্রেসিডেন্ট অবস্থান করছেন। এর মধ্যে আলেহান্দ্রো টলেডো ও ওলান্তা হুমালা এ দুজন দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজা খাটছেন। আর পেদ্রো ক্যাস্তিয়োকে আটকে রাখা হয়েছে সাংবিধানিক ধারা ভঙ্গ করে ‘বিদ্রোহ’ করার অভিযোগে।
পূর্বকোণ/ইবনুর