
এবার ইউক্রেন সংকট নিরসনে সম্ভাব্য উপায় খুঁজতে টেলিফোনে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনেস্কিকে ওয়াশিংটনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি জেলেনস্কিকে কিছু ভূখণ্ড ছাড় দিয়ে পুতিনের সঙ্গে সমঝোতার আহ্বান জানিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে তিনি বলেছেন, মস্কোর মত সামর্থ্য কিয়েভের নেই। অবিলম্বে পুতিনের শর্ত মেনে নেয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জেলেনস্কিকে ট্রাম্প জানিয়েছেন, কিয়েভ যদি পুরো দোনেৎস্ক ছেড়ে দেয় তাহলে অধিকাংশ যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছেন পুতিন।
ট্রাম্পকে দেয়া পুতিনের শান্তি প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে ডনবাসের দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে সরে যেতে হবে, এবং এর বিনিময়ে রাশিয়া জাপোরিঝিয়া ও খেরাসনের সম্মুখভাগে যুদ্ধ স্থগিত করবে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এই প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, তা সত্ত্বেও আগামীকাল সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এই তথ্য নিশ্চিত জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘আমরা যুদ্ধ ও হত্যাযজ্ঞ থামানোর সব বিস্তারিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। এই আমন্ত্রণের জন্য কৃতজ্ঞ।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, রাশিয়া একের পর এক যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করছে, কবে এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হবে তা এখনো জানি না। এটি পরিস্থিতিকে আরো জটিল করছে।’ সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-জেলেনস্কির বৈঠকে ইউরোপীয় নেতারাও যোগ দিতে পারেন।
১৫ আগস্ট শুক্রবার আলাস্কার সামরিক ঘাঁটিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমিরি পুতিনের সাথে বৈঠকের পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে, তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি নয়, স্থায়ী শান্তি চুক্তির দিকে যেতে চান। ট্রাম্প তার ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ এ লিখেছেন, ‘এটি হবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ শেষ করার সবচেয়ে ভাল উপায়। কারণ, যুদ্ধবিরতি কোন স্থায়ী সমাধান নয়।’ পুতিনের সঙ্গে কাটানো এ দিনটিকে সফল বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ন্যাটো ও জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপ অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে।
ট্রাম্প যে বক্তব্য দিয়েছেন তা যুদ্ধের স্থায়ী অবসান নিয়ে তার অবস্থানের বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। কেননা, আলাস্কা বৈঠকের আগেই তিনি বলেছিলেন, তিনি দ্রুত যুদ্ধবিরতি চান। এর আগে হোয়াইট হাউস জানায়, আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে জেলেনস্কির সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘দীর্ঘ’ ফোনালাপ হয় । জেলেনস্কির সঙ্গে আলাপের পর ট্রাস্প নেটোর নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বলে জানান হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এটি একটি দীর্ঘ ফোনালাপ ছিল। প্রথমে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এবং ট্রাম্পের মধ্যে, তারপরে ইউরোপীয় নেতারা এতে যোগ দিয়েছিলেন।’
প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ট্রাম্পের সঙ্গে একান্তে কথা বলার তথ্যও দিয়েছেন জেলেনস্কি। বিবৃতিটি তুলনামূলকভাবে ছোটো, তবে এটি একটি ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটনের ওভাল অফিসের বিপর্যয়কর বৈঠকের পর ট্রাম্পের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ইউক্রেনের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে এই পদক্ষেপকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-জেলেনস্কির আগামীকালের বৈঠককে ইউক্রেনে শান্তির পথে আরও একধাপ অগ্রগতি বলছেন।
শুক্রবার ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে আলোচনায় জেলেনস্কি উপস্থিত ছিলেন না। ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা ভালো হলে দ্বিতীয় বৈঠক হতে পারে এবং তিনি জেলেনস্কিকে কল করতে পারেন। এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার জেলেনস্কি ও ট্রাম্পের এই ফোনালাপে যুক্ত হয়েছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে তার কার্যালয়। পরে কিয়ের স্টারমার দ্বিতীয়বারের মতো জেলেনস্কির সাথে কথা বলেন।
তিনি ইউরোপীয় নেটো নেতাদের এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একটি গ্রুপ কলে যোগ দেন। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই দ্বিতীয় কলে যোগ দেননি। এই কলে যে নেতারা যোগ দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মেৎস, পোলেন্ডের প্রেসিডেন্ট ক্যারল নওরোকি, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব, নেটো মহাসচিব মার্ক রুটে এবং ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন দের লেয়েন ছিলেন।
ইউক্রেন সংকট সমাধানে কোনা চুক্তি কিংবা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ছাড়াই শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার এলমেনডর্ফ–রিচার্ডসন সামরিক ঘাঁটিতে শেষ হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বহুল আলোচিত শীর্ষ বৈঠক। তবে দীর্ঘ তিন ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠকশেষে দুই পরাশক্তি প্রধান যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা অনেক বিষয়ে একমত হয়েছি। যার বেশিরভাগই আমি বলব। কয়েকটি বড় বিষয় আমরা অর্জন করতে পারিনি। তবে আমরা কিছুটা অগ্রগতি করেছি। আমাদের চুক্তিতে পৌঁছানোর খুব ভালো সম্ভাবনা আছে। একটি চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা আলোচনা চালিয়ে যাব।’ ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কোনো চুক্তি না হলেও ভালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন ট্রাম্প।
তিনি পুতিনকে বলেন, ‘আমরা খুব শিগগির আপনার সঙ্গে কথা বলব এবং সম্ভবত খুব শিগগির আমাদের দেখা হবে।’ এ সময় পুতিন ইংরেজিতে বলেন, ‘পরেরবার মস্কোতে।’ তিনি জানান, ‘যুদ্ধের মূল কারণ দূর করা এবং মস্কোর যৌক্তিক উদ্বেগ মেটানোই সমাধানের পথ।’ রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘বৈঠকে যেসব বিষয়ে দুজনে একমত হয়েছেন তা থেকে হতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ ও রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের সূচনা।’ তবে কোন কোন বিষয়ে একমত হয়েছেন তিনি সেটি বলেননি। পুতিনবলেন, ‘ট্রাম্প স্পষ্টত তার দেশের সমৃদ্ধির বিষয়ে মনোযোগী। তবে তিনি এটাও বুঝেছেন, রাশিয়ারও নিজের স্বার্থ রয়েছে।’
বৈঠকের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট দুই কূটনীতিকের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ান জানায়, পুতিন প্রস্তাব দিয়েছেন ইউক্রেন যদি সম্পূর্ণ দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয়, তবে রাশিয়া দক্ষিণের খেরসন আর জাপোরিঝঝিয়ায় বর্তমান অবস্থানে যুদ্ধ থামাবে। ট্রাম্প বা পুতিন কেউই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোমিদির জেলেনস্কিকে পরবর্তী ত্রিপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলনের সম্ভাবনা সম্পর্কে কিছুই বলেননি। অথচ ট্রাম্প পরবর্তী বৈঠকটির ব্যাপারেই আগে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে শত শত সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। তাদের কোনো প্রশ্ন না নিয়েই সংবাদ সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন উভয় নেতা।
বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ‘খুব ভালো বৈঠক হয়েছে।’ আর এই বৈঠকের এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘ট্রাম্প ও পুতিনের বৈঠকটি ছিল খুবই ইতিবাচক।’
এদিকে, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষে ফিরে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন পুতিন। এসময় তিনি আলোচনাকে সময়পোযোগী ও কার্যকর বলে উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, দীর্ঘ সময় পর এ ধরনের সরাসরি আলোচনায় মস্কো শান্তভাবে নিজেদের অবস্থান বিস্তারিতভাবে তুলে ধরতে পেরেছে। যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত যুদ্ধবিরতি চায় বলে জানান পুতিন। রাশিয়াও শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় বলে এসময় দাবি করেন তিনি। ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘মার্কিন প্রশাসন যুদ্ধবন্ধ করতে চায় আর আমরা তাদের এ অবস্থানকে সম্মান জানাই। আমরাও তাই চাই এবং সব সমস্যার সমাধান শান্তিপূর্ণ উপায়ে করতে চাই। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক ছিল একেবারেই খোলামেলা ও তথ্যবহুল। আমার মতে, এটি আমাদের প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তের আরও কাছে নিয়ে গেছে।’
নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, ‘সবার মাধ্যমে নির্ধারিত হয়েছে যে রাশিয়া ও ইউক্রেইনের মধ্যে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ বন্ধ করার সেরা পথ সরাসরি একটি শান্তি চুক্তিতে চলে যাওয়া, যা যুদ্ধ বন্ধ করবে আর শুধু যুদ্ধবিরতি না, যা প্রায়ই ধরে রাখা যায় না।’
আলাস্কার শীর্ষ সম্মেলন থেকে বাদ পড়ায় ইউক্রেনীয়রা গভীরভাবে অসন্তুষ্ট ছিল এবং জেলেনস্কি বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলেছেন যে পরবর্তী দফায় আলোচনার জন্য তিন নেতারই উপস্থিত থাকা উচিত। তিনি ‘নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তার গ্যারান্টি নিশ্চিত করতে’ আমেরিকার সাথে প্রতিটি পর্যায়ে ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার গুরুত্বের ওপরও জোর দেন। অনেক ইউক্রেনীয়র বিশ্বাস, ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপে ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিতি একটি প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করতে পারে, কারণ ট্রাম্পকে তারা পুতিনের দ্বারা প্রভাবিত ব্যক্তি বলে মনে করেন।
রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অবৈধভাবে দখল করে নেয়। পরে আট বছর পর পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসন শুরু করে। ২০২২ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আক্রমণ শুরু হয়। এর পর থেকে ইউক্রেনে যুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত বছর ধরে রাশিয়ান বাহিনী তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়িয়েছে। ইউক্রেনের পূর্বে, কিয়েভ এবং অন্যান্য শহরগুলোয় বিমান হামলাও অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসন সত্ত্বেও বড় ধরনের বিজয় অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে মস্কো। তবে তারা এখন ইউক্রেনের ২০ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে, ইউক্রেন সেখানে রাশিয়াকে পিছু হটাতে পারেনি। তারা ডনবাসকে রাশিয়ার ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে এবং বর্তমানে লুহানস্কের বেশিরভাগ অংশ এবং দোনেৎস্কর ৭০ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘাতে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। এই যুদ্ধ থামাতে চলতি বছরে ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে তিন দফা বৈঠক হয়েছে। তবে কোনো অগ্রগতি আসেনি।
ক্ষমতায় আসার পর তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে বেশ তৎপর ট্রাম্প। আর এর পেছনেও রয়েছে তার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি। দীর্ঘ এই সময় ধরে ইউক্রেনকে দিয়ে আসা সহায়তারও ঘোর বিরোধী ট্রাম্প। ফলে কিয়েভকে শান্তি আলোচনায় বসতে বাধ্য করতে নানা ধরনের কৌশলগত অবস্থান নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেন একটি খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। অন্যদিকে ইউক্রেনও জানে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া এই যুদ্ধে টিকে থাকা সম্ভবপর হবে না। ফলে এই মুহূর্তে পশ্চিমা সহায়তা বিষয়ে অনেকটাই পশ্চাৎপদ অবস্থায় আছে কিয়েভ।
২০২২ সালে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পর থেকে পুতিনকে এড়িয়ে চলছে পশ্চিমা বিশ্ব। কিন্তু পুতিনকে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানিয়ে সেই ধারা ভাঙলেন ট্রাম্প। এই সফরকে পুতিনের ‘ব্যক্তিগত জয়’ বলে মন্তব্য করেছেন ভূ-রাজনীতিবিদরা। তথ্যসূত্র : সিএনএন, বিবিসি ও রয়টার্স
লেখক: যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক
পূর্বকোণ/ইবনুর