চট্টগ্রাম শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

এডিটর’স চয়েস / ডা. ম. রমিজউদ্দিন চৌধুরী

ইতিহাস ক্ষমা করবে না – শাসকও নয়, প্রজাও নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ আগস্ট, ২০২৫ | ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

গাজার ধ্বংসযজ্ঞ শুধু শতত্রুর আগ্রাসনের গল্প নয়, এটি মুসলিম দুনিয়ার নীরবতারও নির্মম সাক্ষ্য। যখন নীল নদ বয়ে চলেছে, তেলের সাগর ভরপুর, বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ হচ্ছে বিনোদনে, তখন গাজার শিশু রুটি পায় না, হাসপাতাল জ্বালানি পায়

 

ইতিহাস লিখে রাখবে,
মিশরের বুকে ছিল নীল নদ, তবুও গাজা তৃষ্ণায় মরেছিল।
সৌদি আরব ও আমিরাতের হাতে ছিল তেলের সাগর,
তবু গাজার হাসপাতালে জ্বালানি ছিল না,
এম্বুলেন্স থেমে ছিল শূন্য ট্যাঙ্ক নিয়ে।

 

ইতিহাস লিখে রাখবে,
পঞ্চাশ মিলিয়নের বেশি সৈন্য ছিল মুসলিম দুনিয়ার,
তবু গাজার জন্য একটি সৈন্যও পাঠানো হয়নি,
থামানো হয়নি সেই গণহত্যা।

 

ইতিহাস বলবে
বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা নষ্ট হয়েছে নৃত্য-উৎসবে,
আর গাজায় ছিল না রুটি, ছিল না এক ফোঁটা পানি।

 

ইতিহাস লিপিবদ্ধ করবে
তুরস্ক ইসলামের নামে বড় বড় কথা বলেছে,
কিন্তু গাজার হত্যাযজ্ঞ থামাতে পারেনি।

 

ইতিহাস মনে রাখবে
মুসলিম জাতি শাসকদের দোষ দিয়েছে,
কিন্তু হাতের কোল্ড ড্রিংকস থেকে
পেপসি-কোক বর্জন করেনি,
শত্রæর পণ্য কেনা থামায়নি।

 

ইতিহাস সাক্ষী থাকবে
পশ্চিমা দুনিয়া রাস্তায় নেমেছিল গণহত্যার প্রতিবাদে,
আর মুসলিম ও তাদের আলেমরা ঘরে বসে বিতর্ক করেছে
এক নারীর সেই পুরনো গল্প নিয়ে,
যিনি একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিলেন।
কিন্তু গাজায় হাজারো প্রাণের মৃত্যু নিয়ে আলোচনা করেনি।

 

গাজার ধ্বংসস্তূপের পর ইতিহাস করুণা করবে না
না শাসকদের, না প্রজাদের।
কিয়ামতের দিন সবাই জবাবদিহি করবে,
সেইদিনই জানা যাবে কে আসলে বিজয়ী।

 

এটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, এক্স, টাম্বলার ও থ্রেডসে- তবে কোনো উৎসে নির্দিষ্ট লেখকের নাম নেই; অধিকাংশই এটি ফিলিস্তিন সংহতি বা আন্দোলনের ট্যাগে বেনামে শেয়ার করেছে।

শেয়ার করুন