চট্টগ্রাম শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশের চোখ এখন যুক্তরাষ্ট্রে, উদ্বেগের মাঝে ইতিবাচক অগ্রগতি

মুহাম্মদ মোরশেদ আলম

৩০ জুলাই, ২০২৫ | ২:০৬ অপরাহ্ণ

আগামী ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত ৩৫% শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে দর কষাকষি করতে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে ওয়াশিংটনে রয়েছেন। তারা ২৯ জুলাই স্থানীয় সময় বেলা ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত রাজধানী ওয়াশিংটনে শুল্ক ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি বা ইউএসটিআর (US Trade Representatives)- এর সঙ্গে তৃতীয় ধাপের বৈঠক করেছেন। বাংলাদেশ সময় তা রাত সাড়ে ৩টা থেকে শুরু হয়ে ভোর সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলে। এতে বাণিজ্য উপদেষ্টা ছাড়াও বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাউসার চৌধুরী এবং ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের শীর্ষ কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন সহকারী ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ ব্রেন্ডন লিঞ্চ। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কর্মকর্তারা ঢাকা থেকে বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়েছেন। বৈঠকশেষে প্রথম দিনেই বাংলাদেশ আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি দেখছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক কমানো হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের শুল্ক যথেষ্ট পরিমাণে কমবে। তবে নির্দিষ্ট হার এখনো বলা সম্ভব নয়। আজ এবং আগামীকাল আমাদের আরও বৈঠক রয়েছে। আমরা আশাবাদী, বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক কিছু হবে।’
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আগের দুই দফা বৈঠকে যেসব অমীমাংসিত বিষয় ছিল, সেগুলোতে একমত হয়েছে উভয় দেশ। কোন দেশকে যুক্তরাষ্ট্র কী সুবিধা দিয়েছে, আলোচনায় তা উত্থাপন করেছে বাংলাদেশ। চূড়ান্ত ফয়সালা শেষ দিনই হবে। পরবর্তী বৈঠক ৩০ জুলাই স্থানীয় সময় সকাল নয়টায় (বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় ) অনুষ্ঠিত হবে। তিন দিনব্যাপী এ আলোচনা ৩১ জুলাই শেষ হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গতকাল রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এ পর্যন্ত আলোচনায় যে অগ্রগতি হয়েছে, তার ভিত্তিতে বাংলাদেশ এই দফার আলোচনায় ইতিবাচক ফলাফল আশা করছে।
বৈঠকের আগে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার সকালে ওয়াশিংটনে এসে পৌঁছায়।
বাণিজ্য সচিব জানিয়েছেন, যেহেতু তাদের সাথে আলোচনা চলছে, ১ আগস্টের মধ্যেই হয়তো শুল্কের বিষয়ে ফলাফল পাওয়া যাবে। ফলে, এই মুহূর্তে দেশের রফতানিকারক, ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, শ্রমিক, ও আমদানি-রফতানির সঙ্গে জড়িত সব পক্ষের চোখ এই বৈঠকের দিকে।
ইতোমধ্যে ইউএসটিআরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভিন্ন দেশের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে সমঝোতা হয়েছে। যেমন ভিয়েতনামের ক্ষেত্রে শুল্ক হার ২০ শতাংশ, ইইউ’র সঙ্গে ১৫ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের ১৯ শতাংশ, জাপান ও ইইউয়ের ১৫ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যের ১০ শতাংশ। বাংলাদেশের জন্য এ হার কত হতে পারে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আগের মতো কঠোর অবস্থানে নেই। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে শুল্ক হার ১৫ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে থাকতে পারে বলে মনে হচ্ছে।’

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বেলা ২টায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক ইস্যু নিয়ে তৃতীয় ধাপের আলোচনা শুরু হয়। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং, বাংলাদেশ দূতাবাস ওয়াশিংটন

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করেছে যে, তারা দেশটিতে পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি আমদানিও বাড়াবে। বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে।
বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে, বর্তমানে তাদের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ৬ বিলিয়ন ডলারের মতো, যা ভিয়েতনামের তুলনায় অনেক কম। ভিয়েতনামের ঘাটতি ১২৩ বিলিয়ন ডলার। ঘাটতির এই ব্যবধান তুলে ধরেই বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অনুকূল সিদ্ধান্ত চায়। এ ছাড়া আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ আরও পণ্য আমদানি করবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
অবশ্য ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে এর আগে দুবার আলোচনায় বসে বাংলাদেশ। সবশেষ বৈঠক হয় গত ৯ ও ১০ জুলাই, ওয়াসিংটন ডিসিতে। ওই বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। তবে সেখান থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার পর গত ২ এপ্রিল বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৬০টি দেশের জন্য পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। পাঁচ দিনের মাথায় ৭ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রকে দুটি চিঠি পাঠায় বাংলাদেশ। পরে ৯ এপ্রিল ট্রাম্প প্রশাসন পাল্টা শুল্ক আরোপ তিন মাসের জন্য স্থগিত করে। তিন মাসের শেষ সময় ছিল ৯ জুলাই। আগের দিন ৮ জুলাই ট্রাম্প নতুন করে ঘোষণা দিয়ে জানান, বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্কহার হবে ৩৫ শতাংশ, যা আগামী ১ আগস্ট থেকে হবে। বর্তমানে গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। নতুন হার কার্যকর হলে তখন মোট শুল্ক দাঁড়াবে ৫০ শতাংশ।
বাংলাদেশ প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে ৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে। মূলত বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিজাত পণ্যের ৮০ শতাংশের বেশি-ই হলো তৈরি পোশাক। দেশটি বাংলাদেশের একক বৃহত্তম রপ্তানি বাজার। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানির পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। এই বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। দেশটির সামগ্রিক বাণিজ্য ঘাটতি ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য থেকে বছরে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি শুল্ক আদায় করে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে মার্কিন পণ্য থেকে বাংলাদেশ প্রায় ১৮০ মিলিয়ন ডলার শুল্ক পায়।
সিপিডি বলছে, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের আমদানির ওপর গড়ে ছয় দশমিক দুই শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। তবে বিভিন্ন ছাড় বিবেচনায় নেওয়া হলে গড় শুল্ক দুই দশমিক দুই শতাংশে নেমে আসে। বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে মার্কিন আমদানির গড় শুল্ক ১৫ দশমিক এক শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ভারসাম্য আনতে বাংলাদেশ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা ৬২৬টি পণ্যে শুল্ক ছাড় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৭ লাখ টন উচ্চমানের গম আমদানির চুক্তি করা হয়েছে। শুল্কের চাপ কমাতে সরকারিভাবে এলএনজি আমদানি বাড়ানোর পাশাপাশি ২৫টি বোয়িং বিমান কিনছে সরকার। বাণিজ্য সচিব বলেছেন, ‘বোয়িংয়ে ব্যবসাটা সে দেশের সরকার করে না, বোয়িং কোম্পানি করে। আমরা ২৫টি বোয়িং কেনার ক্রয়াদেশ দিয়েছি, যদিও এর মধ্যে ১৪টির অর্ডার আগেই দেওয়া ছিল। বাণিজ্য ঘাটতি কমাতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখানে শুধু আমরাই বোয়িং কিনছি না, একইভাবে ভারত ও ভিয়েতনাম ১০০টি করে এবং ইন্দোনেশিয়া ৫০টি বোয়িং কিনছে।’ এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন তেল ও তুলা কেনার পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তুলা আমদানির পর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মিরসরাই ইপিজেডে ৬০০ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এসব পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রফতানি বৃদ্ধির পাশাপাশি বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসাবে, গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ ৮৬৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ১৮ শতাংশের কিছু বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া বাংলাদেশি পণ্যের ৮৫ শতাংশ বেশি তৈরি পোশাক যার রপ্তানি মূল্য প্রায় ৭৫৯ কোটি ডলার।
এ ছাড়া ক্যাপ, চামড়ার জুতা, হোম টেক্সটাইল, পরচুলা, ব্যাগ, তাঁবু, আসবাব, খাদ্যপণ্য, হিমায়িত পণ্য এবং অন্যান্য চামড়াজাত পণ্য বেশি রপ্তানি হয়। পোশাক খাতসহ আরো কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠানে এমন ইউনিট আছে যা গড়ে তোলাই হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির জন্য।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেল (ওটেক্সা) এর হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক বাজারে প্রথম অবস্থান চীনের। বাণিজ্য যুদ্ধ চলার মধ্যে চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে দেশটিতে চীনের রপ্তানি ১০ শতাংশ কমে গেছে। এ সময়ে তারা পোশাক রপ্তানি করেছে ৪৮৯ কোটি ডলারের।বাংলাদেশ চলতি বছরের জানুয়ারি-মে পর্যন্ত সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক পাঠিয়েছে ৩৫৩ কোটি ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। এই সময়ে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি ইন্দোনেশিয়ার বেড়েছে ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ, ভারতের ১৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ ও পাকিস্তানের বেড়েছে ২১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
এদিকে, ৯০ দিনের জন্য শুল্ক-বিরতিতে রাজি হয়েছে চীন-যুক্তরাষ্ট্র। তবে শুল্ক-বিরতি কার্যকর হবে নাকি আগের শুল্ক বহাল থাকবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ট্রাম্প শুল্কবিরতির মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকৃতি জানাবেন—এমন আশঙ্কার কোনো ভিত্তি আপাতত নেই।
শুল্ক ইস্যুতে মঙ্গলবার স্টকহোমে দ্বিতীয় দিনের মতো বৈঠক করেছেন ওয়াশিংটন-বেইজিংয়ের কর্মকর্তারা। সোমবারও সুইডিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ৫ ঘণ্টা বৈঠক করেন ওয়াশিংটন-বেইজিং কর্মকর্তারা। আগামী অক্টোবরে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের বৈঠক হওয়ার সূচি রয়েছে। সেই বৈঠকেই পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে দেশ দুটি।
এর আগে জুনে চীনা পণ্যে ৫৫ শতাংশ শুল্কারোপের পর যুক্তরাষ্ট্রের সাথে টেকসই চুক্তিকরতে চীনকে ১২ আগস্টের সময় দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরমধ্যে কার্যকর চুক্তি নাহলে বাণিজ্য যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পোশাক খাতে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনামের ওপর খসড়া তালিকায় ৪৬ শতাংশ শুল্কারোপের কথা জানানো হলেও দেশটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফলপ্রুসূ আলোচনার ভিত্তিতে তাদের রপ্তানি পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক হার ২৬ শতাংশ কমিয়ে ২০ শতাংশে নির্ধারণ করতে সক্ষম হয়েছে। এখন তাদের পূর্ব নির্ধারিত ১৫ শতাংশসহ ৩৫% শুল্ক দিতে হবে। পোশাক খাতে সংশ্লিষ্ট ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ‘ভিয়েতনামের পাশাপাশি এই খাতে ভারত, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান আর ইন্দোনেশিয়াও আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী । তাদের ট্যারিফের সঙ্গে যদি আমাদের ট্যারিফ সমন্বয় করা যায়, ট্রাম্প প্রশাসন যদি এটি করে দেয়, তাহলে চিন্তার কিছুই নাই। সবকিছু তাদের হাতে।’
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র যদি অতিরিক্ত ৩৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ১৮-২০ শতাংশে আনার ঘোষণা দেয়, তাহলে তা হবে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় বিজয়। আলোচনা সফল হলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

লেখক : মুহাম্মদ মোরশেদ আলম, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক

‍পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন