শান্তিতে নোবেলজয়ী যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মারা গেছেন। স্থানীয় সময় রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের প্লেইনসে নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর।
যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান কার্টার সেন্টার থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স। জিমি কার্টার ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘজীবী প্রেসিডেন্ট। গত অক্টোবর মাসে তিনি ১০০তম জন্মদিন উদযাপন করেন।
ডেমোক্র্যাট নেতা জিমি কার্টার ১৯৭৭ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে ১৯৮১ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়ে রোনাল্ড রেগানের কাছে হেরে রাজনীতি থেকে অবসরে যান তিনি। তখন তার বয়স ছিল ৫৬ বছর।
অবশ্য হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পর আবার মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজের সুনাম ফিরে পান জিমি কার্টার। আন্তর্জাতিক সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অগ্রগতি এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করায় তাকে ২০০২ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের মধ্যে জিমি কার্টার সবচেয়ে দীর্ঘ জীবন পেয়েছিলেন। চলতি বছরের ১ অক্টোবর শততম জন্মদিন উদযাপন করেছেন তিনি। এক বিবৃতিতে জিমি কার্টারের ছেলে চিপ কার্টার বলেন, আমার বাবা একজন নায়ক ছিলেন; শুধু আমার কাছেই নন, যারা শান্তি, মানবাধিকার এবং নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় বিশ্বাস করেন এমন সবার কাছেই।
জিমি কার্টার চার সন্তান ও ১১ নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন জো বাইডেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ দেশটির রাজনীতিবিদরা। জিমি কার্টারের স্ত্রী রোসালিন ২০২৩ সালের নভেম্বরে মারা যান।
পূর্বকোণ/মাহমুদ