দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৮৫ জন নিহত হয়েছেন। পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির একটি বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে ওই বিমানটি বিধ্বস্ত হলে প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটিতে ১৮১ জন আরোহী ছিলেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় অগ্নিনির্বাপক সংস্থার বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়েতে যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
অগ্নিনির্বাপক সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, এ পর্যন্ত দু’জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় জেজু এয়ারের বিমানটিতে ১৭৫ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু ছিলেন। বিমানটি থাইল্যান্ড থেকে এসে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
প্রাথমিকভাবে দু’জনকে জীবিত উদ্ধারের খবর দিয়েছে দেশটির সংবাদ সংস্থা ইয়নহাপও। উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। হতাহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, বিধ্বস্ত বিমানটির পেছনের অংশে উদ্ধারকাজ করে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে বিধ্বস্ত বিমানটির বিভিন্ন অংশে আগুন জ্বলতে ও ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় থাকা দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং মক যথাযথভাবে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন বলে তার দপ্তর জানিয়েছে। গত শুক্রবার চোই সাং মক দেশের অন্তর্বর্তী নেতা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন।
পূর্বকোণ/মাহমুদ