সিরিয়ায় অব্যাহত ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় অবশেষে মুখ খুলেছেন বাশার আল-আসাদ সরকারকে উৎখাতের নেতৃত্ব দেওয়া ইসলামপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েল সম্পর্কে কথা বলেছেন তিনি।-রয়টার্স
সিরিয়ার টিভি নিউজ চ্যানেলের সাথে একটি সাক্ষাত্কারে আল-জোলানি বলেন, সিরিয়ায় বিমান হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলের আর কোন অজুহাত নেই। সাম্প্রতিক আইডিএফ’র সিরিয়ার মাটিতে হামলা লাল রেখা অতিক্রম করেছে এবং এই অঞ্চলে একটি অযৌক্তিক উত্তেজনা বৃদ্ধির হুমকি দিয়েছে।
নতুন করে কোন সংঘাতে জড়িত হতে আগ্রহী নয় জানিয়ে জোলানি আরও বলেন, বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়া পুনর্গঠনের দিকে মনোনিবেশ করছেন তারা। তিনি বলেন, সিরিয়া যুদ্ধে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। এখানে বছরের পর বছর ধরে যুদ্ধ ও সংঘাত চলছে। আর নতুন সংঘাত চাই না। আরও ধ্বংস ডেকে আনে, এমন কোন বিরোধে জড়াতে চাই না। এই পর্যায়ে অগ্রাধিকার হলো পুনর্গঠন এবং স্থিতিশীলতা।
এই বিদ্রোহী নেতা সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন এবং উত্তেজনা এড়ানোর দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি ইসরায়েলের নাম উল্লেখ না করেই বলেন, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার একমাত্র পথ হলো কূটনৈতিক সমাধান। বেহিসাবি সামরিক অভিযান কাম্য নয়।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইসরায়েল সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর কৌশলগত সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করার জন্য একটি বড় অভিযান শুরু করে। যার মধ্যে সিরিয়ান সেনাবাহিনীর রাসায়নিক অস্ত্রের সাইট, ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান প্রতিরক্ষা, বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনীর স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করে।
সিএনএনের প্রতিবেদন অনুসারে, আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ায় ইসরায়েল কঠোর সামরিক হামলা চালিয়েছে। সিরিয়ার সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েল অন্তত ৪৮০টি বিমান হামলা চালিয়েছে এবং ৫০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যকার বাফার জোন থেকে এগিয়ে সিরিয়ার অভ্যন্তরে ঢুকে স্থলবাহিনী মোতায়েন করেছে।
সিরিয়া সীমান্তে বাফার জোনে ইসরায়েলের দখল, সামরিক হামলার পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিন্দা করেছে। এইচটিএসের নেতৃত্বে বিদ্রোহীরা দামেস্ক দখল করার কয়েক ঘণ্টা পর ইসরায়েলও গোলান মালভূমিতে জাতিসংঘের টহলযুক্ত বাফার জোনে প্রবেশ করে।
পূর্বকোণ/মাহমুদ