সিরিয়ায় কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া মার্কিন নাগরিক ট্র্যাভিস টিমারম্যানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জর্ডান সফরকালে এ কথা বলেন।
সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর কুখ্যাত সব কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া বন্দিদের মধ্যে একজন মার্কিন নাগরিকের খোঁজ পাওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন বলেন, “আমরা তাকে (ট্র্যাভিস) বাড়ি ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।”
আল-জাজিরা জানায়, ২৯ বছর বয়সী ট্র্যাভিস টিমারম্যান যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি রাজ্যের বাসিন্দা। খ্রিস্টান এক তীর্থযাত্রায় ৭ মাস আগে তিনি পায়ে হেঁটে সিরিয়ায় ঢুকেছিলেন। পরে তাকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়।
ট্র্যাভিস বলেন, বিদ্রোহীরা দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার একদিন পর গত সোমবার দুজন ব্যক্তি হাতুড়ি দিয়ে কারাগারের দরজা ভেঙে তাকে মুক্ত করেন।
কারাগারের পরিস্থিতি বর্ণনায় আল আরাবিয়া টিভিতে এক সাক্ষাৎকারে ট্র্যাভিস জানান, “তিনি চাইলেই বাথরুমে যেতে পারতেন না। তাকে দিনে কেবল তিনবার বাথরুমে যেতে দেওয়া হত। তবে তাকে মারধর করা হয়নি এবং কারারক্ষীরা তার সঙ্গে ভদ্র আচরণ করতে বলে জানিয়েছেন তিনি।”
এবছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রে মিজৌরির আইনপ্রয়োগকারী কর্মকর্তারা ট্র্যাভিসকে হাঙ্গেরিতে নিখোঁজ ঘোষণা করেছিল। হাঙ্গেরির পুলিশও অগাস্টে তাকে নিখোঁজ ঘোষণা করে এবং শেষবার তাকে বুদাপেস্টে দেখা গেছে বলে জানায়।
সিরিয়ায় কারাগার থেকে বের হওয়ার পর রাজধানী দামেস্কর কাছে ছন্নছাড়া হয়ে ঘুরছিলেন ট্র্যাভিস। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তার খাবার ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে।
পূর্বকোণ/এএইচ