চট্টগ্রাম বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

আগরতলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলায় ৩ পুলিশ বরখাস্ত, গ্রেপ্তার ৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ২:৪২ অপরাহ্ণ

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, ভাঙচুর ও জাতীয় পতাকা নিয়ে টানাহেঁচড়ার ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত এবং দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে পুলিশ সদরদপ্তরের একজন উপ-পুলিশ সুপারকে (ডিওয়াইএসপি) প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে হামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এনই। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, সোমবার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হামলা ও প্রতিবেশী দেশের জাতীয় পতাকা অপমানের ঘটনায় ত্রিপুরা পুলিশ তাদের তিনজন সাব-ইন্সপেক্টরকে বরখাস্ত করেছে এবং দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে পুলিশ সদরদপ্তরের একজন উপ-পুলিশ সুপারকে (ডিওয়াইএসপি) প্রত্যাহার করেছে। এছাড়া হামলার এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজন ভারতীয়কে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

 

মূলত সোমবার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিসহ ব্যাপক বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কথিত নিপীড়নের নিন্দা এবং ইসকনের বহিষ্কৃত সদস্য চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি দাবির নামে সেখানে তাণ্ডব চালায়।

 

ইন্ডিয়া টুডে এনই বলেছে, বিক্ষোভের নামে হাইকমিশনের সামনে জড়ো হওয়ার পর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে একটি দল বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়। তবে একপর্যায়ে ওই গ্রুপের কিছু সদস্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা লঙ্ঘন করে হাইকমিশন চত্বরে প্রবেশ করে এবং ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অপমান করে।

 

ঘটনার বিষয়ে বলতে গিয়ে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) কিরণ কুমার ইন্ডিয়া টুডে এনইকে বলেছেন, বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তিনি নিরাপত্তা বজায় রাখার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন।

 

সপি কিরণ কুমার বলেছেন, আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়িয়েছি এবং একজন ডিওয়াইএসপিকে পুলিশ সদরদপ্তরে স্থানান্তর করার পাশাপাশি তিনজন সাব-ইন্সপেক্টরকে বরখাস্ত করেছি। একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও তদন্ত চলছে।

 

এদিকে, বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বা প্রতিবাদ গ্রহণযোগ্য, কিন্তু এ ধরনের আচরণ একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত।

 

পূর্বকোণ/মাহমুদ

শেয়ার করুন