চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাংকসগিভিং ডে-তে টার্কিভোজ

মুহাম্মদ মোরশেদ আলম

২৯ নভেম্বর, ২০২৪ | ১২:৫১ অপরাহ্ণ

গতকাল ২৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বড়দিনের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব থ্যাংকসগিভিং ডে উদযাপন করা হয়। এদিন ছিল সরকারি ছুটির দিন। প্রত্যেক বছরে নভেম্বর মাসের ৪র্থ বৃহস্পতিবারে আমেরিকায় এবং অক্টোবরের ২য় সোমবারে কানাডায় এই দিনটি পালন করা হয়। আস্ত টার্কির রোস্ট করা হয় বলে থ্যাংকস গিভিং ডে-কে অনেকে আবার দ্যা টার্কি ডে-ও বলে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)-এর তথ্যানুসারে মার্কিনিরা শুধুমাত্র থ্যাঙ্কসগিভিং ডেতে প্রায় ৪৯ মিলিয়ন টার্কি খেয়ে থাকেন।
ঐতিহাসিকভাবে থ্যাংকস গিভিং ডে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক একটা অনুষ্ঠান। থ্যাংকস গিভিং ডে’র মূল উদ্দেশ্য, পরিবার, প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধবসহ সবাই একত্রিত হয়ে সবার জীবনের প্রতিটি সাফল্যের জন্য এবং দেশ ও জাতির সাফল্যের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান। খাবারের তালিকায় থাকে টার্কি রোস্ট, ক্র্যানবেরি সস, মিষ্টি আলুর ক্যান্ডি, স্টাফিং, ম্যাশড পটেটো এবং ঐতিহ্যবাহী পামকিন পাই। টার্কি দেখতে ময়ুরের মতো বড় সাইজের বনমোরগ। এই দিনটি তারা পরিবারের সঙ্গেই উপভোগ করতে বেশি পছন্দ করে। পারিবারিকভাবে প্রতিটি ঘরে আয়োজন করা হয়
টার্কির মধ্যাহ্নভোজ ও নৈশভোজ। গত দু’সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪৫ মিলিয়ন টার্কির বেচাকেনা হয়েছে এবং ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, এবার এই বিক্রি ৫০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। আত্মীয়-স্বজন ও প্রিয়জনদের নানা উপহার দিতে সুপারশপ ও মলগুলোতে ছিল প্রচণ্ড ভিড়। দিবসটি ঘিরে সবচেয়ে বেশি মার্কিন নাগরিকরা তাদের স্বজনদের সাথে মিলিত হন। ফলে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানের টিকিট বিক্রি বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, থ্যাংকস গিভিং ডে উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ভ্রমণ করছেন অন্তত ৮ কোটি মার্কিন নাগরিক। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল নিউইয়র্ক সিটিতে কনকনে ঠান্ডা ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে আমেরিকার অন্যতম বিখ্যাত ব্র্যান্ডশপ ম্যাসি’স (Macy’s) এর উদ্যোগে বর্ণাঢ্য প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দুই টার্কি পাখি পিচ ও ব্লসমকে ক্ষমা ঘোষণা করেন। এই দিবসে টার্কিকে ক্ষমা করে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ইতিহাসের পুরোনো ঐতিহ্য। গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের দক্ষিণ লনে টার্কি দুটিকে ক্ষমা করেন বাইডেন। অনুষ্ঠানে ২ হাজার ৫০০ অতিথির উপস্থিতিতে এ ঘোষণা দেন বাইডেন। তিনি বলেন, টার্কিগুলোর নাম তাঁর নির্বাচনী অঙ্গরাজ্য ডেলাওয়ারের স্থানীয় ফুল পিচ ব্লসমের নামে পিচ ও ব্লসম রাখা হয়েছে, যা স্থিরতা ও দৃঢ়তার প্রতীক।

থ্যাংকসগিভিং ডে উপলক্ষে আড়াই হাজার অতিথির উপস্থিতিতে হোয়াইট হাউসে দুটি টার্কিকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

বাইডেন জানান, পিচের ওজন ৪১ পাউন্ড (১৯ কেজি)। টার্কিটি মাংস, আলু, শাকসবজি দিয়ে তৈরি খাবার হট ডিশ, রসুন, আলু, ময়দা দিয়ে বানানো টেটার টটস খেতে পছন্দ করে। সে নর্দার্ন লাইটস দেখতে ভ্রমণে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে।
অন্যদিকে, ব্লসমের ওজন ৪০ পাউন্ড (১৮ কেজি)। এটির পছন্দের খাবার চিজ কার্ডস। এটি নাকি বক্সিং ম্যাচ দেখতেও পছন্দ করে! ক্ষমা পাওয়া টার্কিগুলোকে পরে খামারে পাঠানো হয়। সেখানে তারা মুক্তভাবে বাঁচবে। দ্য ন্যাশনাল টার্কি ফেডারেশন জানিয়েছে, পিচ ও ব্লসমকে মিনেসোটার খামার আমেরিকা এগ্রিকালচার ইন্টারঅ্যাকটিভ সেন্টারে পাঠানো হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে ১৯৪৭ সাল থেকে টার্কি মুরগি সরবরাহ করে আসছে দ্য ন্যাশনাল টার্কি ফেডারেশন। ন্যাশনাল টার্কি ফেডারেশনের মতে প্রতি বছর আমেরিকানরা ৯০ মিলিয়ন টার্কি খেয়ে থাকেন। এর মধ্যে শুধুমাত্র থ্যাঙ্কসগিভিং ডে-তে টার্কি খাওয়া হয় ৪৯ মিলিয়ন। বড়দিনে ২২ মিলিয়ন এবং ইস্টার সানডেতে ১৯ মিলিয়ন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টদের টার্কি উপহার দেওয়ার ঐতিহ্য শুরু হয় ১৮৭০–এর দশক থেকে। রোড আইল্যান্ডের পোলট্রি ব্যবসায়ী হোরেস ভোস প্রেসিডেন্টকে টার্কি পাঠানো শুরু করেন। হোয়াইট হাউসের প্রাক্তন অনেক বাসিন্দা টার্কি খেতেন না। তবে এই প্রথার প্রতি সম্মান জানিয়ে টার্কি গ্রহণ করলেও সেটি রান্নার জন্য না পাঠিয়ে ‘ক্ষমা’ করে দেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের সময় থেকে হোয়াইট হাউসে টার্কি প্রদর্শন এবং খামারে পাঠানোর রীতি আরও জনপ্রিয় হয়। ১৯৮৯ সালে প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের সময় থেকে টার্কিকে ক্ষমার বিষয়টি আনুষ্ঠানিক রূপ পায়।
এই রীতির মাধ্যমে কৃতজ্ঞতার বার্তা ছড়ানো হয় এবং আসন্ন ছুটির আনন্দ উদ্‌যাপনের সূচনা হিসেবে চিহ্নিত হয়।
থ্যাংকস গিভিং ডে কি এবং কেন : ১৬২০ সালের সেপ্টেম্বরে ‘মে ফ্লাওয়ার’ নামে একটি জাহাজে চড়ে ১০২ জন নানা ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে ধর্ম চর্চা করার জন্য ইংল্যান্ড ছেড়ে নতুন আশ্রয়ের সন্ধানে বের হয়েছিলেন। কেননা ওই বছর ইংল্যান্ডের প্রথম রাজা জেমস সেখানে একটি চার্চ নির্মাণ করে তার প্রথানুযায়ী ধর্মচর্চা করতে সবাইকে বাধ্য করছিলেন। কিন্তু ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টানরা এর বিরোধিতা করে রাজার রোষানলে পড়ে নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের শিকার হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। দলটি প্রথমে হল্যান্ডে যান এবং সেখানে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হন। পরবর্তীতে তারা জাহাজে করে কয়েকমাস ঘুরে আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস বেতে (বর্তমান বোস্টন ) এসে নামেন। দলিটেত ৭০ জন নারী পুরুষ ও বাকিরা শিশু ছিল। এদের অধিকাংশ শিক্ষক, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, বিচারক থাকলেও কোনো কর্মী শ্রেণির মানুষ ছিল না। তারা ঠিকঠাক মতো ঘরবাড়ি বানাতে ও ফসল উৎপাদন করতে পারেনি। ফলে অনাহারে-অর্ধাহারে ও প্রতিকূল আবহাওয়ায় অনেকে মারা যান এবং বেঁচে ছিলেন ৫৪ জন। ওখানেই তারা প্লিমথ নামে একটি গ্রাম গড়ে তুলেন। তাদের কাছাকাছি বসতি ছিল রেড ইন্ডিয়ানদের গ্রাম। স্কোয়ান্তো নামে এক উপজাতি আমেরিকান ইন্ডিয়াননের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। তিনি তাদের নিজ হাতে শিখিয়ে দেন কীভাবে কর্ন চাষ করতে হয়, মাছ ধরতে হয় এবং কীভাবে ম্যাপল গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতে হয়। ১৬২১ সালের নভেম্বরে তাদের উৎপাদিত শস্য কর্ন ঘরে তুলতে সমর্থ হয়। কর্নের ফলন এতই ভালো হয়েছিল যে, গভর্নর উইলিয়াম সব আদিবাসী ও নতুন প্লিমথ গ্রামবাসীর জন্য ভুরিভোজের আয়োজন করেছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে সবাই প্রথমে তাদের সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ও এমন সুন্দর শস্য দান করার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান। তারপর উপস্থিত সবাই সবাইকে ধন্যবাদ জানান সারাবছর একে অপরকে সাহায্য – সহযোগিতা করার জন্য। এই অনুষ্ঠানটি আমেরিকার প্রথম থ্যাংকস গিভিং ডে হিসেবে স্বীকৃতি পায়। অগ্রহায়ণ মাসে যেমন বাংলায় নতুন শস্য উঠলে নবান্ন উৎসব পালন করা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তেমনি এই সময়টায় আসে থ্যাংকসগিভিং।
১৮১৭ সালে নিউইয়র্কে সর্বপ্রথম থ্যাংকস গিভিং ডে সরকারি ছুটি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এরপর ১৮২৭ সালে ‘মেরি হ্যাড আ লিটল’ ল্যাম্ব রচয়িতা সারাহ যোসেফা উদ্যোগ নেন, যাতে থ্যাংকস গিভিং ডে-কে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করার জন্য। তিনি একটানা দীর্ঘ ৩৬ বছর এর পক্ষে প্রচারাভিযান চালান। অবশেষে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন সারাহ জোসেফের আবেদন গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেন এবং নভেম্বর মাসের শেষ বৃহস্পতিবারকে থ্যাংকস গিভিং ডে হিসেবে জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেন। কিন্তু তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট ওই সময়ের অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে ওঠার লক্ষে এই ছুটিকে এক সপ্তাহ এগিয়ে আনার ঘোষণা দেন। এরপর থেকে নভেম্বর মাসের চতুর্থ বৃহস্পতিবার ‘থ্যাংকস গিভিং ডে’ পালিত হয়ে আসছে। প্রতিবছর বন্ধুত্ব ও সংহতি প্রকাশের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে স্মরণীয় বরণীয় করে তুলতে নানা আয়োজনে মেতে উঠে সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র।
ব্ল্যাক ফ্রাইডে : এদিকে, থ্যাংকসগিভিং ডে’র পরের দিন ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’। এই একটি দিনের জন্য সারাবছর মুখিয়ে থাকে আমেরিকার দুই তৃতীয়াংশ মানুষ। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্য আয়ের লোকজন কম দামে ভালো কিছু কেনার অপেক্ষায় থাকে। মাসের শুরুতেই টিভি, নিউজপেপার ও অনলাইনে জানিয়ে দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানসমূহের পণ্য হ্রাসের মূল্য তালিকা। মোবাইলে আসতে থাকে চটকদার বিজ্ঞাপন। বিশেষ করে নিত্যপণ্যের চাহিদা থাকে বেশি। ইলেকট্রনিকস আইটেম যেমন টিভি, ফ্রিজ, ল্যপটপ, কম্পিউটার, আইফোন, আইপ্যাড প্রভৃতির চাহিদাও থাকে তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকে লোকজন লাইনে দাঁড়িয়ে যায় ভোর ৬টায় দোকান খুললে ঢোকার জন্য। ৫০-৭০% ছাড় দেয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। শুক্রবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে অফারের আকর্ষণীয় আইটেমগুলো শেষ হয়ে।
ব্ল্যাক ফ্রাইডের পুরো দিনটিতে আমেরিকায় এতো পরিমাণ বিক্রি বাড়ে যা দেশটির অর্থনীতির সূচককে বাড়িয়ে দেয়। বছর শেষে এই প্রাপ্তি দেশটির জন্য ইতিবাচক। এক লাফে অনেকখানি এগিয়ে যায়।
১৮৬৯ সালে ২৪ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। মার্কিন সোনার বাজারের শুরু হয় বিপর্যয়। ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন। ওই সময় তারা এমন একটি দিনের কথা ভাবেন যেদিন সব পণ্যের উপর বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে এবং ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা যাবে। ব্যবসায়ীদের সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ঠিক হয় বিশেষ অফারের দিনটি হবে নভেম্বরের শেষ শুক্রবার। এরপরই দিনটির প্রচলন শুরু। দিনটি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসা খাতে সুদিন আসে। ওই দিন যে পরিমাণ পণ্য বিক্রি হয় এতে অর্থনৈতিক সূচক বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরা ওই সময় হিসাবের খাতায় লোকসানের হিসাব লিখতেন লাল কালিতে। আর লাভের হিসাব লেখা হতো কালো কালিতে। সেই থেকেই ব্ল্যাক ফ্রাইডে নাম রাখা হয়। কালো বা ব্ল্যাক শব্দটি ব্যবসায়ীদের জন্য ইতিবাচক হয়ে দাঁড়ায়।
ইতিহাসের আরও পেছনে তাকালে জানা যায়, ১৮০০ শতকেও ব্ল্যাক ফ্রাইডে প্রচলন ছিল। ওই সময় এই দিনটি বিশেষ ছাড়ে বিক্রি হত ক্রীতদাস। আমেরিকায় প্রকাশ্যে বাজারে হাঁকডাকে ক্রীতদাস-দাসীদের বিক্রি করা হতো। ধনীদের ওই সময় ক্রীতদাসের প্রয়োজন হতো। তাই কম মূল্যে ক্রীতদাস কিনে নিয়ে যেতেন। অক্টোবর মাসের শেষ দিনে হ্যালোইন, নভেম্বর মাসে থ্যাংকসগিভিং, ডিসেম্বরে বড়দিন সবকিছুতেই বিশাল আয়োজন হতো। ক্রিতদাসরা সেই উত্সব আয়োজনের সব প্রস্তুতি করতেন। তাছাড়া দেশটিতে নবান্ন উৎসব হতো। ঘরে ঘরে ফসল তোলা হতো। তাই ক্রীতদাসের প্রয়োজন হতো। ব্ল্যাক ফ্রাইডে তে আমেরিকায় সব শহরে বিশেষ হাট বসিয়ে বেচাকেনা হতো ক্রীতদাসদের। কারণ বিশেষ ছাড়ে তাদের কেনা যেত।
ব্ল্যাক ফ্রাইডে পেছনে আরও একটি ইতিহাস রয়েছে। ১৯৫০ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রে বছরের সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়। সেই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় ফুটবল খেলাও। ওই দিন যুক্তরাষ্ট্রের পথে প্রচণ্ড মানুষ নেমে যায়। ট্রাফিকে ভিড় জমে। যা সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খায় ট্রাফিক পুলিশ। বিশেষ ছাড়ে পণ্য কেনা, লেনদেন বাড়া এবং খেলার দর্শকদের সামলাতে গিয়ে দেশটির পুলিশরা না খেয়ে পথে দাড়িয়ে থাকে সারাদিন। সেই থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশরা দিনটির নাম দেয় ব্ল্যাক ফ্রাইডে।

লেখক : মুহাম্মদ মোরশেদ আলম, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট