জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় কার্যালয় (UNOCHA) জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর বছরব্যাপী আক্রমণের ফলে উত্তর গাজায় গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের সরবরাহ কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এর ফলে প্রায় ৯৫,০০০ ফিলিস্তিনি জরুরি মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তার মুখোমুখি হয়েছে।
জাতিসংঘের এই ঘোষণাটি এমন সময় এসেছে, যখন গাজার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ব্যাপকভাবে বাড়ছে। যা ইসরাইলের নিষেধাজ্ঞার কারণে আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গাজায় ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞার আওতায় ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘ সংস্থাটিও (UNRWA) গাজার মধ্যে কোনো সহায়তা কার্যক্রম চালাতে পারছে না।
আল-জাজিরার শুক্রবার রাতের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরাইলি কর্মকর্তারা গাজায় নতুন একটি সহায়তা ক্রসিং খোলার পরিকল্পনা করছেন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে ইসরাইলকে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দেয়। যা না মানলে ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, জাতিসংঘ গাজায় ইসরাইলি আক্রমণের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। বৈশ্বিক সংস্থাটি জানিয়েছে যে, গাজায় নিহতদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৪৩,৫৫২ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১০২,৭৬৫ জন আহত হয়েছে। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে গাজার বেসামরিক জনসংখ্যার ওপর ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গাজার বেসামরিক মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ, এমনকি গণহত্যার অভিযোগও আনা হতে পারে। সূত্র: ইরনা
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ