২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরদিন বিশ্ব জানতে পারে যে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হয়েছেন। তবে ২০২০ সালের নির্বাচনে জোসেফ আর বাইডেন জুনিয়রের জয় নিশ্চিত হতে আরও চারদিন লেগেছিল। ২০২৪ সালের নির্বাচনের ফল কবে জানা যাবে, তা নির্ভর করছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কতটা তীব্র হয় তার ওপর।

২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছিল ৩ নভেম্বর। সাতটি মূল রাজ্যের ফল পেতে নির্বাচন-পরবর্তী দিন সকালে অপেক্ষা করতে হয়। পরে মিশিগান ও উইসকনসিনে জো বাইডেনের জয়ের সম্ভাবনা দেখায় এসোসিয়েটেড প্রেস। কিন্তু ডাকযোগে ভোট গণনার জন্য আরও তিনদিন লাগে। চারদিন পর ৭ নভেম্বর শনিবার পেনসিলভানিয়ার জয় নিশ্চিত হয়ে যায় বাইডেনের জন্য। ফলে তিনিই প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা পান। নেভাদা, জর্জিয়া, এরিজোনা এবং উত্তর ক্যারোলিনার ফল এর কিছু পরে প্রকাশিত হয়।

২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল কখন জানা যাবে তা নির্ভর করছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার তীব্রতার ওপর। যদিও নির্বাচনের দিন রাতেই কিছু রাজ্যের ফল জানা যেতে পারে, তবে অনেক রাজ্যের ফল গণনা শেষ হতে একাধিক দিন বা সপ্তাহও লাগতে পারে। নির্বাচনের দিন (৫ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে ভোটগ্রহণ শেষ হবে। সাধারণত যেসব রাজ্যের ভোট দ্রুত গণনা হয়, সেসব রাজ্যের ফল রাতেই পাওয়া যেতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘সুইং স্টেট’ বা ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট’গুলোর ফল চূড়ান্ত না হলে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল জানার জন্য অপেক্ষা করতে হতে পারে। এসব রাজ্যে ভোটের ব্যবধান যদি খুব কম থাকে, তবে ফল ঘোষণা কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে। তবে যদি কোন প্রার্থী এসব রাজ্যে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে থাকেন, তাহলে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল দ্রুত জানা সম্ভব হবে।

২০২০ সালের নির্বাচনের মতো এবারও আগাম ভোট ও ডাকযোগে ভোটের কারণে ফল ঘোষণায় বিলম্ব হতে পারে। ডাকযোগে দেওয়া ভোটের গণনা কয়েকদিন ধরে চলে এবং অনেক রাজ্যে আইন অনুযায়ী ভোটগ্রহণ শেষের পরে পৌঁছানো ডাকভোটও গণনা করা হয়। পেনসিলভানিয়া এবং মিশিগানের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে ডাকযোগে ভোট গণনা সম্পূর্ণ হতে বাড়তি সময় প্রয়োজন হতে পারে।

যদি ভোটের ব্যবধান খুব কম হয় বা কোন প্রার্থী নির্বাচনী জালিয়াতির অভিযোগ করেন, তবে ফল ঘোষণায় আরও বেশি সময় লাগতে পারে। ২০২০ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী জালিয়াতির অভিযোগ তোলার কারণে কিছু রাজ্যের ফল চূড়ান্ত হতে সময় লেগেছিল এবং বেশ কিছু আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়েছিল। ট্রাম্প ও তার সমর্থকরা এই নির্বাচনেও এমন অভিযোগ তুলতে পারেন, যা ফল ঘোষণায় বিলম্বের কারণ হতে পারে।

সূত্র: বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস

পূর্বকোণ/ইব