চট্টগ্রাম সোমবার, ০৪ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

বলিভিয়ায় সামরিক ঘাঁটিতে হামলা, ২০০ সৈন্যকে অপহরণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ১২:০৯ অপরাহ্ণ

লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়ায় একটি সামরিক ঘাঁটিতে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। সশস্ত্র এই হামলার মাধ্যমে হামলাকারীরা সামরিক ঘাঁটিটি দখল করে নেয় এবং কমপক্ষে ২০০ সৈন্যকে অপহরণ ও জিম্মি করে।

 

সশস্ত্র এই হামলাকারীরা দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের সমর্থক। রবিবার (৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় টেলিভিশনে পিঠের পেছনে বাঁধা অবস্থায় সারি সারি সৈন্যদের ছবি দেখানো হয়েছে। এ সময় তাদেরকে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের বেষ্টিত অবস্থায় দেখা যায়।

 

বলিভীয় সেনাবাহিনী শুক্রবার বলেছে, একটি ‘অনিয়মিত সশস্ত্র গোষ্ঠী’ মধ্য বলিভিয়ার কোচাবাম্বা শহর সংলগ্ন সামরিক ঘাঁটি থেকে সামরিক সদস্যদের অপহরণের পাশাপাশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করেছে।

 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন লিখেছে, সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের ‘যোগ’ আছে বলে বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইস আরসে দাবি করলেও তিনি কোন প্রমাণ হাজির করেননি। অভিযোগের বিষয়ে মোরালেসের বক্তব্য জানতে পারেনি সিএনএন।

 

এই ধরনের আক্রমণ যে রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে বিবেচিত হবে, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর তরফে গোষ্ঠীটিকে অবিলম্বে ও শান্তিপূর্ণভাবে ব্যারাক ত্যাগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। ২০২৫ সালের নির্বাচন সামনে রেখে মোরালেস ও আরসের মধ্যে যে লড়াই চলছে, সেই অস্থিরতায় দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে সবশেষ উত্তেজনার ঘটনা এটি।

 

সিএনএন লিখেছে, মোরালেসের বিরুদ্ধে সরকার মানবপাচারের অভিযোগ সামনে আনার পর সাবেক প্রেসিডেন্টের সমর্থকরা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কোচাবাম্বাসহ দেশটির প্রধান মহাসড়কে অবরোধ করেছে।

 

মূলত কোচাবাম্বা শহরটি মধ্য বলিভিয়ায় অবস্থিত এবং সেখানে সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মেরালেসের অনেক সমর্থক বাস করেন। সামরিক স্থাপনাটি সশস্ত্র গোষ্ঠী নিজেদের দখলে নেওয়ার পরপরই দেশটির সামরিক বাহিনী সৈন্যদের এবং তাদের পরিবারদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় বলে স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে।

 

বলিভিয়ার বার্তাসংস্থা এএনএফ জানিয়েছে, এই স্থাপনায় বন্দী থাকা সৈন্যদের মধ্যে একজন তার কমান্ড সেন্টারে পাঠানো এক বার্তায় বলেছেন- সশস্ত্র দলটি কর্তৃপক্ষকে (দেশে চলমান) অবরোধে হস্তক্ষেপ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে।

 

মোরালেসের সমর্থকরা গত ১৯ দিন ধরে সারাদেশে অবরোধ তৈরি করেছে। সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং মানবপাচারের অভিযোগে তদন্ত বন্ধ করার দাবি করছেন তারা। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোরালেস।

 

পূর্বকোণ/মাহমুদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট