বিশ্বের বৃহত্তম জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব তার এশীয় ক্রেতাদের জন্য অপরিশোধিত তেলের মূল্য কমাতে পারে। বাণিজ্যিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের বেঞ্চমার্ক দুবাইয়ের দামের অনুসরণে এই মূল্য কমানো হতে পারে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সৌদি তেলের মূল্য হ্রাসের খবরটি দুর্বল চাহিদার ইঙ্গিত দেয়। এতে করে অপরিশোধিত তেল উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনাকে বিলম্বিত করতে সৌদি আরবের নেতৃত্বে রাশিয়াসহ পেট্রোলিয়ম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেক প্লাস গোষ্ঠীকে আরো প্রমাণ দিতে হতে পারে।
ফ্ল্যাগশিপ আরব লাইট ক্রুডের রপ্তানির মূলমান বা অফিসিয়াল সেলিং প্রাইস (ওএসপি) নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে ৩০ থেকে ৫০ সেন্ট কমে যেতে পারে বলে জানিয়েছে ছয়টি শোধনাগার সূত্র। গত মাসে মধ্যপ্রাচ্যের স্পট প্রিমিয়াম হ্রাস পেয়েছিল। তবে এশিয়ার বাজারের চাহিদা তেমন বাড়েনি। বিশেষ করে চীনের মতো দেশগুলোর চাহিদা কম ছিল।
তবে কিছু সূত্রের মতে ডিসেম্বরে আরব মিডিয়াম ও আরব হেভি ক্রুডের জন্য তুলনামূলকভাবে ছোটো মূল্য হ্রাস হতে পারে, কারণ উচ্চ-সালফার ফুয়েল তেলের মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অঞ্চলটির জন্য নির্দেশক স্বরূপ সিঙ্গাপুরে কমপ্লেক্স রিফাইনিং মার্জিন অক্টোবরের দ্বিতীয়ার্ধে ব্যারেল প্রতি ৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। সেপ্টেম্বরে এর গড় মূল্য ছিল ২.১২ ডলার যা এ বছর সর্বনিম্ন।
এছাড়া বিশেষ করে দুর্বল তেলের চাহিদা ও সরবরাহ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ওপেক প্লাস ডিসেম্বরে তেল উৎপাদন বৃদ্ধি এক মাস বা তারও বেশি সময়ের জন্য বিলম্বিত করতে পারে বলে জানিয়েছে চারটি সূত্র।
সৌদি আরবের অফিসিয়াল সেলিং প্রাইস সাধারণত প্রতি মাসের পাঁচ তারিখে প্রকাশিত হয়। এটি ইরান, কুয়েত ও ইরাকের তেলের মূল্যকে প্রভাবিত করে। এশিয়ায় দৈনিক প্রায় ৯ মিলিয়ন ব্যারেল তেল সরবরাহ করা হয়।
রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি সৌদি আরামকো তার তেলের মূল্য গ্রাহকদের পরামর্শ ও গত মাসে তেলের মূল্যমানের পরিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করে। তবে আরামকো কর্মকর্তারা তাদের মাসিক ওএসপি নিয়ে মন্তব্য করেন না।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ