ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছে- এমন দাবি করে বাংলাদেশের কড়া সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে করা (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে এই সমালোচনা করেন তিনি।
ওই পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টানসহ অন্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তারা (সংখ্যালঘুরা) বিভিন্নভাবে হামলা ও লুটের শিকার হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে।
ট্রাম্প তার পোস্টে দাবি করেছেন, যদি তিনি প্রেসিডেন্ট থাকতেন তাহলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতনের ঘটনা ঘটত না। তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রসহ পুরো বিশ্বে হিন্দুদের উপেক্ষা করেছেন। এছাড়া ইউক্রেন থেকে শুরু করে ইসরায়েল এবং নিজেদের দক্ষিণ সীমান্তসহ সব জায়গায় বাইডেন-হ্যারিস ব্যর্থ হয়েছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।
ট্রাম্প বলেছেন, আমার চোখের সামনে এগুলো কখনও হতো না। কমালা এবং জো বাইডেন হিন্দুদের আমেরিকাসহ পুরো বিশ্বব্যাপী উপেক্ষা করেছেন। ইসরায়েল থেকে ইউক্রেন, আমাদের দক্ষিণ সীমান্তসহ সব জায়গায় তাদের অবস্থা যা-তা। কিন্তু আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে আবারও শক্তিশালী করব এবং শক্তির মাধ্যমে শান্তি ফিরিয়ে আনব।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত হিন্দু জনগোষ্ঠী এবং ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব নিয়েও এই পোস্টে কথা বলেছেন ট্রাম্প। তিনি লিখেছেন, উগ্র বামপন্থীদের ধর্ম বিদ্বেষ থেকে আমরা আমেরিকান হিন্দুদের রক্ষা করব। আমরা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করব। এছাড়া (নির্বাচিত হলে) আমার প্রশাসনের মাধ্যমে ভারত এবং ভালো বন্ধু নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শক্তিশালী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ব। সবশেষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ধারণা করা হচ্ছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান ও হিন্দু ভোটারদের ভোট টানতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে পোস্ট করেছেন ট্রাম্প। মূলত শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পর ভারত অভিযোগ করে আসছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাদের এই অভিযোগকে সমর্থনের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে ট্রাম্পের পোস্টে।
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর ভারত থেকে দাবি করা হয় সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তখন ভারতীয় সাংবাদিকদের সরেজমিন প্রতিবেদন করার আহ্বানও জানান।
পূর্বকোণ/মাহমুদ