চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

মাত্র ১২ লাখ দোদুল্যমান ভোটারের হাতে কমলা-ট্রাম্পের ভাগ্য

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

২৩ অক্টোবর, ২০২৪ | ১২:০৬ অপরাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাগ্য নির্ধারণ করবে মাত্র কয়েক লাখ দোদুল্যমান ভোটার। তবে এই ভোটারদের নাগাল পাওয়া খুবই কঠিন। তাই এসব অধরা আমেরিকানকে নিয়ে কয়েক মাস ধরে শ্রমসাধ্য গবেষণা পরিচালনা করছেন দুই প্রার্থী। এবার তারই আলোকে কার্যত কিছু ভোটারের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন তারা। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।

 

ডেলাওয়্যারে কমলার প্রচারণা সদরদপ্তরে ভোট বিশ্লেষকরা রণক্ষেত্র রাজ্যগুলোতে কোন টেলিভিশন শো এবং পডকাস্ট ভোটাররা বেশি ব্যবহার করেন- ১৮ মাস ধরে তার একটি তালিকা তৈরি করেছেন। কমলার দল এ রাজ্যের প্রতিটি ভোটারের ক্ষেত্রে ০ থেকে ১০০-এর মধ্যে ‘যোগাযোগ যোগ্যতা স্কোর’ বরাদ্দ করেছে। এর মাধ্যমে কাক্সিক্ষত ভোটারের কাছে পৌঁছানো ঠিক কতটা কঠিন হবে এবং কে তার কাছে সমাপনী বার্তা সরবরাহ করতে সবচেয়ে কার্যকর, তা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ফলাফলের ভিত্তিতে কমলা তাঁর গণমাধ্যম প্রচারণা এবং ভ্রমণের সময়সূচির পাশাপাশি সেই ভোটারদের প্রিয় তারকাকে নিয়ে প্রচারাভিযান চালাচ্ছেন। উদাহরণ স্বরূপ, চলচ্চিত্র তারকা জুলিয়া রবার্টস এবং বাস্কেটবল গ্রেট ম্যাজিক জনসন দোদুল্যমান অনেক ভোটারের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এসব তারকাকে তাই কমলার পক্ষে প্রচারের জন্য সেসব রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছে।

 

অন্যদিকে দক্ষিণ ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের সদরদপ্তরে তাঁর দল সম্প্রতি রণক্ষেত্র রাজ্যের ভোটারদের মডেলটি নতুন করে বিন্যাস করেছে। দলের বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, মাত্র ৫ শতাংশ ভোটার এখনও সিদ্ধান্তহীন ছিল, যা গত আগস্টের তুলনায় অর্ধেক। ট্রাম্প এবং তার দল এসব ভোটারকে ‘লক্ষ্য প্রণোদিতযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছে। এর মধ্যে তরুণ, নিম্ন আয়ের এবং জাতিগত বৈচিত্র্যময় মানুষ রয়েছে। তাদের মধ্যে স্ট্রিমিং পরিষেবা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার প্রবণতা দেখা গেছে। এর ভিত্তিতে সেসব রাজ্যে ট্রাম্প তরুণদের লক্ষ্য করে পডকাস্টসহ তাদের প্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলোতে উপস্থিতি বাড়িয়েছেন।

 

যুক্তরাষ্ট্রে আধুনিক ভোট গ্রহণের আবির্ভাবের পর থেকে এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। দুই প্রার্থীই রণক্ষেত্র রাজ্যগুলোতে কার্যত সমানে সমান। ফলে নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে এখন দোদুল্যমান আমেরিকানরা নিয়ামক শক্তি হয়ে উঠেছেন। তবে তারা অধরা। তাদের অনেকেই রাজনীতি নিয়ে আগ্রহী নয়। কেউ কেউ মনে করছেন, তাদের ভোটদান অর্থহীন। কারণ তারা ভোট না দিলেও তাতে কিছুই বদলাবে না। তাই বিলিয়ন ডলারের প্রচারণার পরও তাদের খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন