একটি জাতির সমৃদ্ধিতে সামাজিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব কী? এক দেশ কীভাবে আরেক দেশের চেয়ে সমৃদ্ধ হয়? অর্থনীতির এসব ধাঁধার সমাধান করে চলতি বছরের নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন অধ্যাপক ড্যারন এসেমোগলু, সিমন জনসন ও জেমস এ রবিনসন।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে চলতি বছর অর্থনীতি বিভাগে নোবেলবিজয়ী হিসেবে এই তিন অর্থনীতিবিদের নাম ঘোষণা করে সুইডিশ রয়েল একাডেমি অব সায়েন্সেস।
প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার প্রক্রিয়া এবং রাষ্ট্রের উন্নতিতে তার প্রভাব বিষয়ক গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য তিন অর্থনীতিবিদকে এ বছর অর্থনীতির নোবেল দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে একাডেমি।
১৯৬৯ সাল থেকে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হয়। এ পুরস্কারের প্রকৃত নাম সেভারিগস রিক্সব্যাংক প্রাইজ। তবে আলফ্রেড নোবেলের স্মরণে পুরস্কারটি দেওয়া হয় বলে এটি ‘অর্থনীতির নোবেল’ নামে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত।
শুরু থেকেই সুইডিশ রয়েল একাডেমি এই পুরস্কার প্রদান করে আসছে। সেই হিসেবে এবার ৬৬তম নোবেল পুরস্কার পেলেন তারা। পুরস্কারের ১০ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রাউন বা ১১ লাখ ডলার ভাগ করে নেবেন তিনজন।
বিজয়ীদের নাম ঘোষণার সময় নোবেল অর্থনীতি বিভাগের পুরস্কার প্রদান কমিটির চেয়ারম্যান জ্যাকব স্ভেনসন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের গঠন এবং উন্নয়নে তার প্রভাব’ মূলত যেকোনো দেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সংক্রান্ত একটি গবেষণা। রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নতিতে প্রতিষ্ঠানের প্রভাব সম্পর্কে ড্যারন একেমোগলু, সাইমন জনসন এবং জেমস রবিনসন তাদের যে অন্তঃদৃষ্টির পরিচয় দিয়েছেন তা গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান, অর্থনৈতিক উন্নয়নের এগিয়ে যাওয়ার জন্য খুবই উপযোগী।
পূর্বকোণ/মাহমুদ