কারিবিয়ান অঞ্চলের হাইতির একটি ছোট শহরে স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী গ্র্যান গ্রিফ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৭০ জনকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে ১৬ জন।
শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্র্যান গ্রিফ গ্যাং এর সদস্যরা রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের প্রায় ৭১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে কেন্দ্রীয় আর্টিবোনিট অঞ্চলের পন্ট-সোনডে শহরে তাণ্ডব চালায় বলে জানায় গণমাধ্যম।
জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ৪৫টি বাড়ি এবং ৩৪টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলার কারণে প্রায় ৬ হাজার ২৭০ জন তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই আশেপাশের সেন্ট-মার্ক এবং অন্যান্য শহরে বসবাসকারী পরিবারের কাছে আশ্রয় নিয়েছে। অন্যরা অস্থায়ী শিবিরে অবস্থান করছে।
গ্র্যান গ্রিফ গ্যাং নেতা লাকসন এলান এই গণহত্যার দায় নিয়ে জানিয়েছেন, পুলিশ এবং অন্যান্য গোষ্ঠী যখন তাদের সেনাদের হত্যা করেছিল, তখন বেসামরিক লোকজন চুপ ছিল। এর প্রতিশোধ হিসেবে তারা এই হামলা চালিয়েছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী এক্স পোস্টে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, এই নৃশংস ঘটনা শুধু নারী, শিশু ও পুরুষের জন্য নয়, এটি পুরো হাইতিবাসীর বিরুদ্ধে নৃশংসমূলক কাজ।
এ চক্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান নেতা উভযয়ের ওপরই যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আছে। হাইতি কর্তৃপক্ষ দেশে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর এক মাস পর বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) চক্রটি এই তাণ্ডব চালায়। প্রধানমন্ত্রী গ্যারি কনিল এই গ্যাং দমনের অঙ্গীকার করেছেন বলে জানায় গণমাধ্যম।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই চক্রটির প্রায় ১০০ সদস্য রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি এবং অপহরণসহ নানা অপরাধের অভিযোগ আছে।
পূর্বকোণ/এমটি