চট্টগ্রাম শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে সশস্ত্র হামলায় নিহত ২০০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৬ আগস্ট, ২০২৪ | ১:১০ অপরাহ্ণ

সহিংসতায় বিধ্বস্ত পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে সশস্ত্র হামলায় অন্তত ২০০ জন নিহত হয়েছেন। আল-কায়েদার সাথে যুক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠী জামায়াত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিম (জেএনআইএম) সেন্ট্রাল বুরকিনা ফাসোতে একটি হামলার দায় স্বীকার করেছে।

 

ওই হামলায় ২০০ জন লোক নিহত এবং আরও কমপক্ষে ১৪০ জনের আহত হওয়ার কথা জানা গেছে। রবিবার (২৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার কায়া শহরের প্রায় ৪০ কিলোমিটার (২৫ মাইল) উত্তরে অবস্থিত বারসালোঘো অঞ্চলে এই হামলার ঘটনা ঘটে। বিশ্লেষকরা এই কায়া শহরটিকে রাজধানী ওয়াগাদুগুকে রক্ষাকারী সর্বশেষ স্থায়ী বাহিনীর আবাসস্থল হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

 

আল জাজিরা বলছে, হামলার সময় নিরাপত্তা ফাঁড়ি রক্ষার জন্য পরিখা খননকারী লোকজনের দলগুলোর ওপর গুলি চালায় যোদ্ধারা। হামলার পর বেশ কয়েকজন সৈন্য নিখোঁজ ছিল এবং হামলাকারীরা অস্ত্র ও একটি সামরিক এম্বুলেন্স নিয়ে যায়।

 

সেনেগালের ডাকার থেকে আল জাজিরার নিকোলাস হক বলেছেন, জেএনআইএম হামলার পরের ভয়াবহ ভিডিও পোস্ট করেছে। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, পুরুষ, নারী এবং শিশুরা যে পরিখা খনন করছিল তারা সেটির ভেতরে শুয়ে আছে। কার্যত এটি তাদের গণকবরে পরিণত হয়েছে।

 

হামলায় আহতদের চিকিৎসার জন্য এলাকার হাসপাতালে কায়া থেকে ডাক্তার, নার্স এবং অন্যান্য চিকিৎসা কর্মীদের আনা হয়েছে।

 

নিকোলাস হক উল্লেখ করেছেন, বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী শুক্রবারই জানত যে, একটি আক্রমণ ঘটতে চলেছে এবং এ লক্ষ্যে জনগণকে তারা পরিখা খননের জন্য আহ্বান জানিয়েছিল।

 

তিনি আরও বলেন, এটি বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনীর হতাশাকেই তুলে ধরছে। এই বাহিনী আল-কায়েদার সাথে যুক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছে তাদের দেশের অর্ধেক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।

 

বুরকিনা ফাসোতে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে এবং ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের (এনআরসি) সাম্প্রতিক রিপোর্টে বিশ্বের সবচেয়ে অবহেলিত বাস্তুচ্যুতি সংকটের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দেশটি।

 

এনআরসি অনুসারে, সহিংসতায় গতবছর এই দেশটিতে ৮ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন, যা আগের বছরের মৃত্যুর তুলনায় দ্বিগুণ।

 

পূর্বকোণ/মাহমুদ

শেয়ার করুন