আর কয়েক ঘণ্টা পর শুরু হচ্ছে অলিম্পিকের বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এর আগে দুষ্কৃতিকারীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে দেশটির উচ্চগতিসম্পন্ন ট্রেন নেটওয়ার্ক। দেশের ব্যস্ততম রেলপথে কিছু ধ্বংসলীলা চালিয়েছে, তাতে করে ট্রেন চলাচলে বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটেছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রেলওয়ে অপারেটর এসএনসিএফ জানায়, দেশের পশ্চিম, উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে প্যারিসকে সংযোগকারী লাইনের আশপাশে থাকা স্থাপনাগুলোতে অগ্নিসংযোগ করেছে দুষ্কৃতিকারীরা।
সব পর্যটকদেরকে তাদের যাত্রা স্থগিত করতে বলা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি সারানোর চেষ্টা চলছে। ট্রেনকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের গন্তব্যস্থলে।
ক্রীড়ামন্ত্রী অ্যামেলি ওউদেয়া-কাসতেরা এই ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এটা আতঙ্কজনক। গেমসকে লক্ষ্যবস্তু বানানো মানে ফ্রান্সকেও লক্ষ্যবস্তু বানানো।’
অথচ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্ছিদ্র রাখতে ফ্রান্স ৪৫ হাজারের বেশি পুলিশ, ১০ হাজার সেনা ও ২০০০ বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী নিযুক্ত করেছে। ছাদে থাকবে স্নাইপার ও আকাশ থেকে নজরদারি হবে ড্রোন দিয়ে।
অলিম্পিক আয়োজক জানিয়েছে, তারা এই পরিস্থিতি বিবেচনায় এসএনসিএফ-এর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত এই অপরাধের দায় স্বীকার করেনি কেউ।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ