যুক্তরাজ্যে বিবিসির এক সাংবাদিকের স্ত্রী এবং তার দুই মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। বিবিসির ওই সাংবাদিকের নাম জন হান্ট। তিনি বিবিসির রেসিং বিভাগের ধারাভাষ্যকার।
হার্ডফোর্ডশায়ারের বুশে শহরে নিজের বাড়িতে তার স্ত্রী এবং দুই মেয়ে এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবারের ওই হামলার ঘটনায় জন হান্টের স্ত্রী ক্যারল হান্ট (৬১), তার দুই মেয়ে হান্না হান্ট (২৮) ও লুইস হান্ট (২৫) গুরুতর আহত হন এবং সবাই ঘটনাস্থলেই মারা যান। বিবিসির রেসিং বিভাগের ধারাভাষ্যকার জন হান্টের স্ত্রী এবং দুই মেয়ে হার্টফোর্ডশায়ারের বুশে শহরের নিজ বাড়িতেই হামলার শিকার হন।
এই ঘটনায় কাইল ক্লিফোর্ড (২৬) নামে এক ব্যক্তিকে উত্তর লন্ডনের একটি কবরস্থানের কাছে আহত অবস্থায় আটক করা হয়েছে। সন্দেহভাজন এই ব্যক্তি দুই বছর আগে সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে দেন বলে জানা গেছে। হার্টফোর্ডশায়ার এবং উত্তর লন্ডনে ব্যাপক তল্লাশির পরে বুধবার বিকেলে পুলিশ অফিসাররা লন্ডনের এনফিল্ড এলাকায় ক্লিফোর্ডকে খুঁজে পান।
পুলিশের বিশ্বাস, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চালানো এই আক্রমণটি ছিল টার্গেটেড এবং ক্রসবো (ধনুকের মতো অস্ত্র) ও সেই সাথে সম্ভবত অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে করা হয়েছিল।
হার্টফোর্ডশায়ার পুলিশ বলেছে, পুলিশ ‘কোনও গুলিবর্ষণ ছাড়াই’ কাইল ক্লিফোর্ডকে গ্রেপ্তার করেছে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করার পর এখন চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, একসঙ্গে তিনজনের হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনায় জন হান্টের পরিবার এবং তার কর্মস্থল বিবিসিসহ যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বিবিসি রেসিং ধারাভাষ্যকার হিসেবে ৩০ বছরের বেশি সময় কাজ করছেন হান্ট। সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি রেসিং সমর্থকদের মধ্যেও তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। অবশ্য হত্যাকাণ্ডের শিকার নারীদের সঙ্গে ক্লিফোর্ডের পূর্বপরিচয় ছিল কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।
পূর্বকোণ/মাহমুদ