চট্টগ্রাম সোমবার, ০১ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

তীব্র গরমে পাকিস্তানে ৬ ‍দিনে ৫৬৪ জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৭ জুন, ২০২৪ | ১২:২২ অপরাহ্ণ

তীব্র গরমে পাকিস্তানে গত ছয়দিনে ৫৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু মঙ্গলবারই উদ্ধার করা হয়েছে ১৪১ জনের মরদেহ। দেশটির করাচি শহরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে।

 

দেশটির ইধি এম্বুলেন্স পরিষেবা জানিয়েছে, প্রতিদিন শহরটির মর্গে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জনের মরদেহ পরিবহন করছে তারা। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

 

তবে প্রতিটি মৃত্যুর কারণ এখনই অলাদা করে বলা যাচ্ছে না। করাচির তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে যাওয়ায় মৃতের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। বাতাসের আর্দ্রতার কারণে এই তাপমাত্রা ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো অনুভূত হচ্ছে।

 

সাহায্যের জন্য মানুষ হাসপাতালে ছুটে যাচ্ছে। করাচির সিভিল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রধান ডা. ইমরান সারওয়ার শেখ জানিয়েছেন, গত রবিববার থেকে বুধবারের মধ্যে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ২৬৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ জনই মারা গেছেন।

 

হাসপাতালে আসা এসব মানুষের প্রায় সবাই বৃদ্ধ ও মধ্য বয়স্ক। তাদের সবারই বমি, ডায়রিয়া এবং উচ্চমাত্রায় জ্বরসহ নানা উপসর্গ রয়েছে।

 

ডা. ইমরান বলছেন, হাসপাতালে আসা মানুষদের অনেকেই বাইরে কাজ করছিলেন। আমরা তাদের প্রচুর পানি পান করতে এবং হালকা পোশাক পরিধান করতে বলেছি।

 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সপ্তাহান্তে দেশটিতে তীব্র তাপমাত্রার কারণে মাত্রাতিরিক্ত গরম শুরু হয়েছে। এক আবহাওয়াবিদ এটিকে ‘আংশিক তাপপ্রবাহ, হিসেবে বর্ণনা করেছেন। জনসাধারণের স্বস্তির কথা বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ কেন্দ্র ও ক্যাম্প স্থাপন করেছে কর্তৃপক্ষ।

 

এদিকে, উচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে নিয়মিত লোডশেডিং করাচিবাসীর জীবন আরও অতিষ্ট করে দিয়েছে। নিজেদের ঠান্ডা রাখতে অনেকেই ফ্যান ও এয়ার কন্ডিশনারের ওপর নির্ভরশীল।

 

তবে শুধু করাচি শহরই নয়, পাকিস্তানের অন্যান্য অঞ্চল তীব্র তাপপ্রবাহের সঙ্গে লড়াই করছে। রয়টার্সের তথ্যানুসারে, গতমাসে সিন্ধ প্রদেশে প্রায় রেকর্ড-ব্রেকিং ৫২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলো আরও ঘন ঘন ও তীব্র হয়ে উঠছে। করাচির এই তীব্র তাপপ্রবাহ আগামী সপ্তাহেও অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

পূর্বকোণ/মাহমুদ

শেয়ার করুন