জাতিসংঘ গত বছর শিশুদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ অপরাধীদের তালিকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে যুক্ত করেছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হাজার হাজার শিশু হতাহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৈশ্বিক এই সংস্থা।
আজ শনিবার (৮ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশুসহ অনেকে মারা যাওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। দখলদারদের বর্বর হামলায় শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীকে অপরাধীদের তালিকায় যুক্ত করেছে সংস্থাটি। এ বিষয়ে ইসরায়েলকে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিও পাঠানো হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, হামাসকে সমর্থন করে সংস্থাটি নিজেকে অপরাধীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক টুইটে জাতিসংঘের এই পদক্ষেপকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
গিলাদ এরদান বলেন, ‘এটি একটি লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত। আমাদের সেনাবাহিনী হলো বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিকতাসম্পন্ন বাহিনী। এক ব্যক্তিই একে অপরাধীদের তালিকায় যুক্ত করেছেন। তিনি হলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব। তিনি সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করছেন।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের মধ্যেই গাজায় বর্বর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গতকাল শুক্রবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফার উত্তরে ওরেইবা এলাকায় একটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছে নেতানিয়াহুর বাহিনী। এতে বেশ কয়েকজন নিহত হন।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ