পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটো ইউক্রেনে সেনা পাঠালে তা অত্যন্ত বিপজ্জনক হবে। বুধবার (৮ মে) এমন সতর্কতা জারি করেছে রাশিয়া। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
রাশিয়া বলেছে, ন্যাটো-র কাছে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের সহযোগিতার আবেদনটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে রাশিয়া। এই আবেদন অনুযায়ী ন্যাটো যদি ইউক্রেনে সেনা পাঠায় তাহলে তা খুব বিপজ্জনক হবে। জেলেনস্কির অনুমোদন বা প্রত্যাহারের জন্য ২৫ হাজার ভোট আবশ্যক। তবে এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয় এত সংখ্যক ভোট আবেদনটি পাবে কিনা। বুধবার সকাল পর্যন্ত ১ হাজার ৫৯৪টি ভোট পেয়েছে তা।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের ওয়েবসাইটে করা আবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য মিত্রদেরে কাছে ইউক্রেনের সেনা সহায়তা চাওয়া উচিত। পিটিশনের বিষয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউক্রেন নিয়ে পূর্বানুমান করা কঠিন।
দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আমরা বারবার বলেছি, ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সেনাবাহিনীর সরাসরি হস্তক্ষেপ বিশাল বিপদ বয়ে নিয়ে আসবে। তাই এটিকে চ্যালেঞ্জিং উসকানি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এটি খুব সতর্কতার সঙ্গে দেখছি।ইউক্রেনকে ট্যাংক ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রসহ ক্রমবর্ধমান শক্তিশালী অস্ত্র সরবরাহের সমর্থন দিয়েছে ন্যাটো। কিন্তু সেনাদের বিষয়ে কিছু বলেনি এই পশ্চিমা জোটটি।
অতীতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উভয়েই সতর্ক করে বলেছিলেন, ইউক্রেনে ন্যাটোর সেনা মোতায়েন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে।ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছিলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনের লাইন ভাঙে বা ইউক্রেন যদি চায় তবে পশ্চিমা সেনা পাঠানোর বিষয়টি ‘বৈধ’ বলে উত্থাপিত হবে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বুধবার বলেছেন, ইউক্রেনে ফরাসি সেনাদের পাঠানো হলে রাশিয়া তাদের নিশানা করবে।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ