সুইডেনে ইরাকি দূতাবাসের সামনে পবিত্র কুরআন পুড়িয়ে আলোচনায় আসেন ইরাকি নাগরিক সালওয়ান মোমিকা। মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) নরওয়ে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য পবিত্র কুরআন পুড়িয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসেন ইরাকি মিলিশিয়ার সাবেক এই নেতা। সম্প্রতি সুইডেন থেকে নরওয়েতে চলে যান মোমিকা।
ইন্ডিয়া টিভি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সালওয়ান মোমিকা গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সময় সুইডেনে কুরাআন পোড়ানোর সঙ্গে জড়িত। গত সপ্তাহে তিনি একটি সংবাদপত্রকে বলেছিলেন যে, তিনি প্রতিবেশী নরওয়েতে আশ্রয় চেয়েছেন। খ্রিস্টান থেকে নাস্তিক হওয়া মোমিকা নিজেকে একজন ‘উদার নাস্তিক সমালোচক এবং চিন্তাবিদ’ হিসেবে বর্ণনা করতেন।
পাকিস্তানে অবজারবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার মৃত্যু নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ কিছু জানায়নি। তবে রেডিও জেনোয়া এক্স পোস্টে তার মৃত্যুর খবর জানায়। তবে একই প্ল্যাটফর্ম দাবি করেছে যে, যারা মোমিকার মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়ে এক্সে পোস্ট দিয়েছিল, সেই পোস্টটি তারা এখন মুছে দিয়েছে। বলা হয়, ‘যারা মোমিকার মৃত্যুর ঘোষণা দিয়েছিল, তারা সেই টুইটটি মুছে দিয়েছে। আমরা আরও নিশ্চিতকরণের জন্য অপেক্ষা করছি।’
সালওয়ান মোমিকার কুরআন পোড়ানোয় ঘটনায় মুসলিস বিশ্ব এর ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানায়। বিশ্বের অনেক স্থানে এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভও করা হয়। এ ঘটনায় ন্যাটোর সদস্য হতে সুইডেনকে বেগ পেতে হয়। কারণ কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় তুরস্ক সুইডেনকে ন্যাটোতে যোগদানে অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বলা হচ্ছে এ ঘটনার পর সুইডেন কর্তৃপক্ষ মোমিকাকে দেশ থেকে বের করে দেয়। সূত্র : দ্য ইকোনোমিক টাইমস
পূর্বকোণ/এসি