ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকবে না বলে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছে সৌদি আরব। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি বলেন, সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সৌদি আরব ও ইসরায়েল আগ্রহী বলে তারা জানতে পেরেছেন।
এরপর সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিবৃতি দিল। এতে বলা হয়েছে, কারবির ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনের বিষয়ে নিজেদের দৃঢ় অবস্থানের কথা ওয়াশিংটনকে পরিষ্কার করতে এ বিবৃতি দেওয়া হলো।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পূর্ব জেরুজালেমসহ ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুযায়ী ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এবং গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ‘আগ্রাসন’ বন্ধ করতে হবে।
২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও বাহরাইনের সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে সৌদি আরব নীরব সম্মতি জানিয়েছিল। এরপর থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়।
বলা হয়, রিয়াদ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের জন্য তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে; যারা ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী হিসেবে রেখে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়নি।
ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের পাশাপাশি ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুযায়ী একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছে। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীর দখল করে। পশ্চিম তীর ও গাজা মিলে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে ফিলিস্তিনিরা।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজা স্ট্রিপে ‘ইসরায়েলের আগ্রাসন’ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে এবং ভূখণ্ডটি থেকে ইসরায়েলি বাহিনীকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
গত বছর ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে বেশ কয়েকমাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক উপায়ে সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন এবং ইসরায়েলকে দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রিয়াদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল।
পূর্বকোণ/পিআর