গভীর রাতে জর্ডানে অবস্থিত একটি মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এতে তিন মার্কিন সেনা নিহত এবং ৩৪ জন আহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের বিবৃতির বরাতে রোববার (২৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, সিরিয়া সীমান্তবর্তী জর্ডানের টাওয়ার ২২ এলাকায় অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোনটি আঘাত হানে।
এ হামলার সময় দক্ষিণ ক্যারোলিনায় অবস্থান করছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হামলায় তিন সেনা নিহতের খবর পাওয়ার পর একটি চার্চে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি বলেছেন, ‘আমরা এই হামলার প্রতিক্রিয়া জানাব। ’
এ হামলার জন্য সিরিয়া এবং ইরাকে অবস্থান নেওয়া সক্রিয় ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীদের দায়ী করেছেন তিনি।
সেনাদের মৃত্যুর বিষয়টি সিএনএনকে নিশ্চিত করে সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওয়ানওয়ে ড্রোন দিয়ে এ হামলা চালানো হয়েছে। ওয়ানওয়ে ড্রোনে বিস্ফোরক থাকে। যেটি লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের দাবি, ড্রোনটি ইরান-সমর্থিত কোনো মিলিশিয়া গোষ্ঠী ছুড়েছে এবং এটি সিরিয়া থেকে ছোড়া হয়েছে। কোন মিলিশিয়া গোষ্ঠী হামলাটি করেছে তার অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড রবিবার নিশ্চিত করেছে, উত্তরপূর্ব জর্ডানের একটি ঘাঁটিতে একমুখী ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এতে তিন সেনা সদস্য নিহত এবং কমপক্ষে ৩৪ জন আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে গুরুতর আহত আটজনকে উন্নতর চিকিৎসাসেবা দিতে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো কোনো হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনাদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।
গত ১৭ অক্টোবর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ড্রোন হামলার কবলে পড়েছেন মার্কিন সেনারা। তবে এর আগে কেউ নিহত হননি। অবশ্য আগের হামলাগুলো হয়েছে ইরাক ও সিরিয়াতে।
তবে জর্ডানে মার্কিন সেনাদের নিহত হওয়ার বিষয়টি মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের গুরুতর বিষয় হয়ে উঠতে পারে বলে জানিয়েছে সিএনএন।
পূর্বকোণ/পিআর