যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না এ ব্যাপারে ঐতিহাসিক মামলার শুনানি হবে।
গত মাসে কলোরাডোর আদালত ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করে। কলোরাডো আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন ট্রাম্প। বিচারকরা তার এ আপিল শুনতে সম্মত হয়েছেন।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে এ মামলার শুনানি হবে এবং যে রায় দেওয়া হবে সেটি পুরো দেশজুড়ে কার্যকর হবে।
তিন বছর আগে, নির্বাচনে কারচুপির মিথ্যা গুজব রটিয়ে ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গা লাগানোর অভিযোগ রয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। আর এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন রাজ্যে তাকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আদালতের এ রায়ের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে গৃহযুদ্ধের সময়কার ১৪তম সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী, ট্রাম্প নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য হবেন কি না।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে বলা আছে, যারা বিদ্রোহ জড়িত হবে তারা নির্বাহী অফিসের কোনো পদে আসীন হতে পারবেন না। তবে সাবেক প্রেসিডেন্টের আইনজীবীরা বলছেন, ট্রাম্পের ক্ষেত্রে এই সংশোধনী প্রযোজ্য নয়। কারণ তিনি ওই সময় দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
কলোরাডোর আদালতের পাশাপাশি মেইনে রাজ্য নির্বাচন কর্মকর্তাও ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
সুপ্রিম কোর্ট এবারই প্রথমবার সংবিধানের এ ধারাটির বিশদ ব্যাখ্যা করবেন।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে রিপাবলিকান পার্টির নেতা হিসেবে আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ট্রাম্প। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে থাকবেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ট্রাম্পকে মিনসোতা এবং মিশিগান রাজ্য থেকেও অযোগ্য ঘোষণার চেষ্টা চালানো হয়েছে। তবে এই প্রচেষ্টা বাতিল করে দিয়েছেন রাজ্যগুলোর সর্বোচ্চ আদালত। সূত্র: বিবিসি
পূর্বকোণ/এসি