ভারতে আবার দেখা যাচ্ছে কোভিডের প্রকোপ। দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালা রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। চার জনের মৃত্যুও হয়েছে। এর জন্য জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি কেরালায় করোনা ভাইরাসের উপধরন জেএন.১ শনাক্ত হয়েছে। এরপর থেকেই সেখানে দ্রুত সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশে শনাক্ত হয় জেএন.১।
কেরালায় বর্তমানে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৩২৪ জন। গত শনিবার রাজ্যটিতে একদিনেই চার জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
তবে এই সব কোভিড রোগীদের মধ্যে কতজন জেএন.১ উপধরনে আক্রান্ত তা সঠিকভাবে নিরুপণ করা যায়নি। করোনা ভাইরাসের বিভিন্ন ধরন শনাক্তের জন্য কেবল খুব সামান্য কিছু নমুনারই জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়ে থাকে।
কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ বলেছেন, কোভিডের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ মাসের শুরুর দিকে কেরালায় একটি নমুনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় জেএন.১ উপধরন শনাক্ত হয়। রোগী ছিলেন ৭৯ বছর বয়সী এক নারী। তার ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুস্থতা ছিল এবং পরে তিনি সুস্থও হয়ে ওঠেন।
কোভিডের এই উপ-ধরনটি ভারতের অন্যান্য রাজ্যে আগে থেকেই ছিল বলে জানিয়েছেন বীনা জর্জ। কয়েকমাস আগে সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে তল্লাশি করার সময় কয়েকজন ভারতীয় নাগরিকের শরীরে এই উপধরনের সন্ধান পাওয়া যায় বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
প্রতিবেশী কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কেরালায় কোভিড সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার দিকে তারা সতর্ক নজর রাখছে।
হঠাৎ কোভিড সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে তা মোকাবেলার প্রস্তুতি পরীক্ষায় বিভিন্ন হাসপাতালে মহড়া শুরু করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যদিও এর সঙ্গে জেএন.১ উপধরনের সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, কোভিড প্রতিরোধী অনুমোদিত সব টিকাই জেএন.১ সংক্রমণ রোধেও কাজে দেবে।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ