ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরু থেকেই ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তাও দিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। এরই রেশ ধরে এবার গাজায় চালানো আগ্রাসনকে আরও বেগবান করার জন্য ইসরায়েলকে বাংকার বিধ্বংসী বোমা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বরাতে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ১০০টি বিএলইউ ১০৯ বোমা ইসরায়েলকে দিয়েছে ওয়াশিংটন। বোমাটি ৯০০ কিলোগ্রামের (১৯,৮০ পাউন্ডের) বেশি ওজনের একটি ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম এবং এর আগে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধসহ অন্যান্য সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র এই বোমা ব্যবহার করেছে।
এদিকে ইসরায়েলে প্রথমবারের মতো যে যুক্তরাষ্ট্র বোমা পাঠাচ্ছে বিষয়টা তেমন না। ইসরায়েলের যেসব যুদ্ধবিমান গাজায় বোমা বর্ষণ করছে, সেগুলোও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি যা নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। শুধু তাই না, অস্ত্র চাওয়ার আগেই অনেক সময় ইসরায়েলকে অস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের যে নিন্দার ঝড় বিশ্বজুড়ে বইছে সেখানে ইসরায়েলকে অস্ত্র পাঠানোর ইস্যুতে মুখ বন্ধ রেখেছে পেন্টাগন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েল মার্কিন অস্ত্রের ওপরেই নির্ভর করে রয়েছে। ১৫ হাজার বোমা এবং ৫৭ হাজার ১৫৫ মিলিমিটার আর্টিলারি শেল সামরিক কার্গো বিমানে করে ইসরায়েলে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ৫ হাজারেরও বেশি আনগাইডেড এমকে ৮২ বোমা, ৫ হাজার ৪ শ’রও বেশি এমকে ৮৪ বোমা, প্রায় হাজারখানেক জিবিইউ ৩৯ ক্ষুদ্র ব্যাসের বোমা এবং ৩ হাজার জেডিএএম পাঠিয়েছে, যা মূলত একটি নির্দেশিকা কিট যা আনগাইডেড বোমাকে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম করতে পারে এমন বোমাতে পরিণত করে, এসব পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে সামরিক সহায়তা ইস্যুতে ইসরায়েলকে অস্ত্র পাঠিয়ে প্রতি বছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করছে যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন বলছে, গাজায় ইসরায়েল যে আগ্রাসন চালাচ্ছে সেখানে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। এরমধ্যে একটি হলো জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে।
সাত দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পরপরই গাজায় আবারও বোমা হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই নিহত হয়েছেন শতাধিক ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৬,১৫০ শিশুসহ ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অপরদিকে ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ১২০০। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
পূর্বকোণ/পারভেজ