ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরাইলর মধ্যে বহুলপ্রত্যাশিত সাময়িক যুদ্ধবিরতি বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে জানিয়েছে হামাস।
বুধবার (২২ নভেম্বর) হামাসের কর্মকর্তা মুসা আবু মারজুক আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি চুক্তি আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টা থেকে কার্যকর হবে।
গাজায় বন্দী ৫০ জিম্মির মুক্তি ও চারদিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে ইসরাইল এক চুক্তিতে পৌঁছানোর ঘোষণা দেয়ার পর হামাসের পক্ষ থেকে চুক্তিটি কার্যকরের সময় ঘোষণা করা হয়েছে।
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলার পর গত সপ্তাহে কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতার ভিত্তিতে ইসরাইলের কাছে যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল কাতারে অবস্থানরত হামাসের হাইকমান্ড।
বুধবার (২২ নভেম্বর) এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এর পরপরই হামাসের পক্ষ থেকে টেলিগ্রামে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। বিবৃতি দিয়েছে ইসরাইল সরকারও। এসব বিবৃতি থেকে যুদ্ধবিরতির কিছু শর্তের কথা জানা গেছে।
বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় সব এলাকায় আকাশ ও স্থলপথে যেকোনো ধরনের অভিযান পরিচালনা থেকে বিরত থাকবে। এছাড়াও চুক্তি অনুযায়ী ইসরাইলি সামরিক যান চলাচলও বন্ধ থাকবে।
চিকিৎসা উপকরণ, জ্বালানিসহ মানবিক সহায়তা নিয়ে শত শত ট্রাক সীমান্ত পেরিয়ে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। ইসরাইল কর্তৃপক্ষ এসব ট্রাককে গাজায় ঢোকার অনুমতি দেবে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে অতর্কিত বোমা হামলা চালায় হামাস। এতে ইসরাইলে ১২০০ মানুষ নিহত হয়। এছাড়াও দেশটির ২৪০ বাসিন্দাকে বন্দি করে নিয়ে যায় হামাস। অন্যদিকে হামাসের এ হামলার জবাবে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে অনবরত বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় গাজায় ১৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাড়ে আট হাজারেরও বেশি নারী ও শিশু। এছাড়াও চলমান এ সংঘাতে ৩৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ