চট্টগ্রাম বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

পাইপের ভেতর দিয়ে পাঠানো ক্যামেরায় ধরা পড়লেন টানেলে আটকা ৪১ শ্রমিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২১ নভেম্বর, ২০২৩ | ২:০৫ অপরাহ্ণ

ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যে সিল্কিয়ারা টানেল ধসে আটকে পড়াদের উদ্ধারকাজে তেমন অগ্রগতি হয়নি। এখনও দমবন্ধ পরিবেশে আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। তবে বহু চেষ্টার পর ১০ দিনে প্রথম তাদের ছবি পাওয়া গেছে। সেসঙ্গে তারা প্রথম তরল খাবার হিসেবে গরম খিচুড়ি আর ডাল পেয়েছেন। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সোমবার পাহাড় ড্রিল করে ছয় ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপ শ্রমিকদের সামনে পর্যন্ত ঢোকানো সম্ভব হয়। সেটার ভেতর দিয়েই পাঠানো হয়েছিল ক্যামেরা।

 

১২ নভেম্বর সকালে ব্রহ্মখাল-য়ামুনোত্রী মহাসড়কে নির্মাণাধীন টানেলে এই ধসের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকেই শ্রমিকদের উদ্ধারে ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে এগিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। কিন্তু এখনো তাঁদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ৪১ জন শ্রমিকের আতঙ্কিত চেহারা। তারা এখনো জীবিত আছেন।

 

এতদিন তাদের শুকনো খাবার পাঠানো হচ্ছিল। এবারই প্রথম বোতলে করে তরল খাবার গরম খিচুড়ি আর ডাল পাঠানো হয় তাদের কাছে। আটক শ্রমিকদের কাছে ওয়াকি-টকিও পাঠানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন উদ্ধারকারীরা।

 

ঠিক কীভাবে খাবার পৌঁছে দেওয়া হল? এপ্রসঙ্গে উদ্ধার অভিযানের দায়িত্বে থাকা কর্নেল দীপক পাতিল জানিয়েছেন, পাইপে করে খাবার দেওয়ার জন্য চওড়া মুখের প্লাস্টিকের বোতল নিয়ে আসা হয়েছিল। ওই বোতলগুলি করেই শ্রমিকদের কাছে কলা, আপেল, খিচুড়ি এবং ডালিয়া পাঠানো হয়েছে। রবিবার রাতের অগ্রগতিতে আমরা খুশি। আমরা শ্রমিকদের কাছে মোবাইল ফোন ও চার্জারও পাঠাব। আশা করা যায়, এরপর উদ্ধারকাজ আরও দ্রুত করা সম্ভব হবে।’

 

গত সোমবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, পাঁচটি সংস্থা যৌথভাবে উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে। আনা হয়েছে একাধিক অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। তার সাহায্যেই নতুন করে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। এর আগে, ড্রিল করে সুড়ঙ্গের খুব কাছ পর্যন্ত পৌঁছানোর পর বিরাট ধস নামে, সব কাজ পণ্ড হয়ে যায়। এখন বিভিন্ন দিক থেকে ড্রিল করে বড় বড় পাইপ ঢুকিয়ে সুড়ঙ্গের ভিতর পর্যন্ত পৌঁছানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

 

চারধাম যাত্রার রাস্তা চওড়া করার জন্য উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর কাছে পাহাড় কেটে টানেল তৈরির কাজ চলছিল। চারধাম অর্থাৎ, কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী এবং য়ামুনোত্রী। এই সরকারের অন্যতম প্রকল্প এই রাস্তা। কিন্তু শুরু থেকেই এই রাস্তা নিয়ে নানা আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন বিজ্ঞানী এবং পরিবেশবিদেরা। যেভাবে হিমালয় কাটা হচ্ছে, তা অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছিলেন পরিবেশবিদ দীপায়ন দে এবং বিভাংশু কাপারওয়ান। সুড়ঙ্গে ধস নামার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন তারা।

 

ধসের পর তারা দুজনই ডয়চে ভেলেকে জানান, শ্রমিকদের উদ্ধার করার পর এই প্রকল্পটি নিয়ে নতুন করে ভাবা উচিত সরকারের। সরকার অবশ্য প্রকল্প বন্ধ করার কোনো ইঙ্গিত এখনো পর্যন্ত দেয়নি।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন