নিউক্লিয়ার টেস্ট ব্যান ট্রিটি বা পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা নিষিদ্ধের চুক্তি থেকে সরে এসেছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই বিষয়ে একটি আইনে স্বাক্ষর করেছেন।
মস্কোর দাবি, এই আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুমোদন করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র টালবাহানা করছে। আর সেজন্যই তারা এই আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে সরে এসেছে। এর আগে গত মাসে রাশিয়ার পার্লামেন্ট এই চুক্তি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছিল।
প্রেসিডেন্ট পুতিনের দাবি, রাশিয়ার এই চুক্তি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত আসলে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে আয়না ধরার মতো।
১৯৯৬ সালে কম্প্রিহেনসিভ টেস্ট ব্যান ট্রিটি (সিটিবিটি) গ্রহণ করা হয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল, নতুন করে আর পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করা যাবে না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি অনুমোদন করেনি। তবে তারা চুক্তি বাস্তবে মেনে চলেছে।
এছাড়া চীন, ভারত, পাকিস্তান, ইসরায়েল, মিশর, উত্তর কোরিয়া, ইরানও এই চুক্তি অনুমোদন করেনি। পুতিনের দাবি, কিছু বিশেষজ্ঞ পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করতে চাইছেন। কিন্তু তিনি এখনও কোনও মতামত দেননি বা সিদ্ধান্ত নেননি।
তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা না করলে রাশিয়াও করবে না।
অন্যদিকে ইউক্রেন দাবি করেছিল, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। সেই দাবি অস্বীকার করে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ জানিয়েছেন, যুদ্ধে অচলাবস্থা দেখা দেয়নি। রাশিয়া তার সামরিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছে। তাদের সব লক্ষ্যই পূরণ হবে।
রাশিয়া অবশ্য ইউক্রেনে তাদের আগ্রাসনকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে। পেশকভের দাবি, স্থির ও অবিচলিতভাবে রাশিয়া তার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
ইউক্রেনের সেনাপ্রধান এর আগে জানিয়েছিলেন, রাশিয়া যুদ্ধে বেশি কিছু লাভ করতে পারেনি।
এদিকে রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সাইবেরিয়ায় রাশিয়ার এলএনজি প্রকল্পের ওপরে। এই প্রকল্প থেকে বিশ্বের বাজারে রাশিয়া গ্যাস সরবরাহের পরিকল্পনা করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি।
এছাড়া ড্রোন তৈরি করে এমন একটি সংস্থার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সূত্র : ডয়চে ভেলে
পূর্বকোণ/এসি