একজন স্ত্রী যেহেতু পরিবারের সবদিক খুব নিপুণভাবে দেখভাল করেন। তাই তিনি অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। সেজন্য আজ (১৭ সেপ্টেম্বর) দিনটি বেছে নিতে পারেন, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারেন স্ত্রীর প্রতি। কারণ, আজ স্ত্রীর প্রশংসা দিবস।
বছরের সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় রবিবার যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রীর প্রশংসা দিবস উদযাপিত হয়। ২০০৬ সালে দেশটিতে প্রথম দিবসটি উদযাপিত হয়। তারপর থেকে এটি অনেক দেশে পালিত হয়ে আসছে। তবে, দিবসটি নিয়ে খুব বেশি তথ্য জানা না গেলেও মনে করা হয়, স্ত্রীর প্রশংসা দিবসটি মূলত স্ত্রীদের সম্মান জানানোর জন্য উদযাপন করা হয়।
‘সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে’ এই কথাটি চিরন্তন সত্য। একটি সুন্দর, সুষ্ঠু, আদর্শ পরিবার গড়ে ওঠার পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন একজন স্ত্রী। তিনি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে পরম মমতায় আগলে রাখেন একটি পরিবার। দুই হাতে সামলে রাখেন স্বামী, সন্তান ও সংসার।
আর এসব ত্যাগী স্ত্রীরা পরিবারের অন্য সবার, বিশেষ করে স্বামীর একটু প্রশংসা বা উৎসাহ পেলে মুহূর্তেই উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন। দ্বিগুণ আগ্রহে আরও বেশি মনোনিবেশ করেন সংসারে। অনেক স্বামীই আছেন, যারা স্ত্রীর প্রশংসা করতে কার্পণ্য করেন, খুঁত খুঁজে বেড়ান। একটু এদিক-সেদিক হলেই কথা শোনান। সমীক্ষা বলছে, এসব স্বামীদের কপালে পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকে।
মারাত্মক দুঃসময়ে প্রথমে যে মানুষটি পাশে দাঁড়ায়, যে মানুষটির আলতো চুমু হতাশা নিরাময়ের মহৌষধ, চরম সিদ্ধান্তিহীনতায় যে ব্যক্তি একটি লক্ষ্যে স্থির রাখতে সাহায্য করে, তিনিই স্ত্রী। স্ত্রীরা স্বামীদের কঠোর পরিশ্রমের অনুপ্রেরণা। শুধু তাই নয়, সারাদিন পরিশ্রম শেষে রাতে বাসায় ফেরার পর এক পশলা স্বস্তির নিঃশ্বাস বয়ে আনে ওই স্ত্রীই। তাই স্ত্রীই একমাত্র নিঃস্বার্থ ভালোবাসা কিংবা প্রশংসার দাবিদার।
বিশেষ এই দিনটিতে স্ত্রীর হাতে তুলে দিতে পারেন একগুচ্ছ ফুল। ঘুরতে যেতে পারেন কোথাও। চাইলে ছোট-বড় উপহারও দিতে পারেন। পারেন তাকে রান্না করে খাওয়াতেও।
পূর্বকোণ/এসি