হিজাবের পর এবার সরকারি স্কুলে মুসলিম ছাত্রীদের আবায়া পরা নিষিদ্ধ করতে চলেছে ফ্রান্স। এর ফলে দেশটিতে আগামী সেপ্টেম্বরে শুরু হতে যাওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে ফ্রান্স সরকার পরিচালিত স্কুলগুলোতে মেয়ে শিক্ষার্থীরা পুরো শরীর ঢেকে রাখা ঢিলেঢালা এই পোশাক আর পরতে পারবেন না।
রোববার (২৭ আগস্ট) ফরাসি শিক্ষামন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল এই ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে ২০০৪ সালে ফ্রান্স স্কুলে মাথার স্কার্ফ বা হিজাব পরিধান নিষিদ্ধ করেছিল এবং ২০১০ সালে জনসমক্ষে পুরো মুখের পর্দার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ফ্রান্সে ৫০ লাখ মুসলিম রয়েছেন এবং এই ধরনের সিদ্ধান্ত এর আগে পশ্চিম ইউরোপের এই দেশটির শক্তিশালী এই সম্প্রদায়ের বহু মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছিল।
টিভি চ্যানেল টিএফ১-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সের শিক্ষামন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল বলেছেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, স্কুলে আবায়া আর পরা যাবে না। কেউ যখন শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করবে, তখন শুধুমাত্র তাদের পোশাক দেখে শিক্ষার্থীদের ধর্ম শনাক্ত করা যাবে না।’
পৃথক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, ফরাসি স্কুলগুলোতে মুসলিম শিক্ষার্থীদের আবায়া পরা নিয়ে কয়েক মাস ধরে বিতর্কের পরে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে এবং তখন থেকেই নতুন এই নিয়মটি প্রয়োগ করা হবে।
ব্রিটিশ এই সংবাদমাধ্যম বলছে, ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় স্কুল এবং সরকারি ভবনগুলোতে ধর্মীয় পোশাকসহ ধর্ম ফুটে ওঠে এমন নানা নিদর্শনের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মূলত পোশাকসহ এসব ধর্মীয় নিদর্শন ধর্মনিরপেক্ষ আইন লঙ্ঘন করে, এমন যুক্তিতেই সেগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
বিবিসি বলছে, ফ্রান্সের স্কুলগুলোতে মুসলিম শিক্ষার্থীরা আবায়া পোশাকটি ক্রমবর্ধমানভাবে পরিধান করছেন। যার ফলে এই ইস্যুতে রাজনৈতিক বিভাজন তৈরি হয়েছে এবং কট্টরপন্থি দলগুলো এই পোশাক নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারকে চাপ দিচ্ছে।এছাড়া আবায়া পরার কারণে মুসলিম নারী ও মেয়েদের অধিকারের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বামপন্থিরা।
সূত্র: রয়টার্স।
পূর্বকোণ/আরডি