ভারতের পর এবার চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ চাল রপ্তানিকারী দেশ মিয়ানমার। আগামী দেড় মাস এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে দেশটির চাল ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারীদের সংগঠন মিয়ানমার রাইস ফেডারেশন (এমআরএফ)।
এআরএফের এক জেষ্ঠ্য সদস্য রয়টার্সকে এ প্রসঙ্গে বলেন, অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে আপাতত চাল রপ্তানি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের শেষ থেকে আগামী ৪৫ দিন এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
মিয়ানমার বিশ্বের ৫ম বৃহৎ চাল রপ্তানিকারী দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, প্রতি বছর বিভিন্ন দেশে ২০ লাখ টন চাল রপ্তানি করে মিয়ানমার।
গত মাসে বাসমতি ব্যতীত অন্য সব চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে চলতি মাসেই আন্তর্জাতিক বাজারে চালের সরবরাহ কমেছে ১ কোটি টন। শতকরা হিসেবে এই ঘাটতির হার ২০ শতাংশ।
মিয়ানমারের চাল ব্যবসায়ীদের সাম্প্রতিক এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ভারতের মুম্বাইভিত্তিক একটি চাল রপ্তানিকারী সংস্থার স্বত্বাধিকারী বলেন, চালের আন্তর্জাতিক বাজারে মিয়ানমার খুব গুরুত্বপূর্ণ কোনো সরবরাহকারী নয়, কিন্তু এমন এক সময়ে এই নিষেধাজ্ঞা তারা জারি করল, যখন ইতোমধ্যেই স্বাভাবিক সরবরাহে ঘাটতি শুরু হয়েছে।
তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে এই নিষেধজ্ঞা একটি বিপদ সংকেত এবং এতে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।
এদিকে, ভারত রপ্তানি স্থগিতের পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ছে থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের চালের দাম। চাল রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে এই দুই দেশ যথাক্রমে দ্বীতিয় ও তৃতীয় বৃহত্তম।
রয়টার্স জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে উভয় দেশের চালের দাম প্রতি টনে ৫ শতাংশ হারে বেড়েছে।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ