চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি দুর্নীতিবাজদের সম্পদও বাজেয়াপ্ত করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক

৯ আগস্ট, ২০২৩ | ১২:৪১ অপরাহ্ণ

কোনো দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ছাড়াও দুর্নীতিবাজদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া অংশীদার দেশগুলোকে এ বিষয়ে তথ্য দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র, যাতে ওইসব দেশ এ ঘটনাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা (প্রসিকিউট) নিতে পারে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) এসব কথা বলেন।

ম্যাথিউ মিলার বলেন, শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বরং তার মিত্র দেশগুলোকে এসব শাস্তিমূলক পদক্ষেপের ব্যাপারে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে দুর্নীতি এবং বিদেশে টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেবে কি না, এ সংক্রান্ত এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ওই মন্তব্য করেন মুখপাত্র মিলার।

শেখ হাসিনার কাজে সন্তুষ্ট তবুও তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান বাংলাদেশিরা: আইআরআইয়ের জরিপশেখ হাসিনার কাজে সন্তুষ্ট তবুও তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান বাংলাদেশিরা: আইআরআইয়ের জরিপ জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, এর আগে অন্য একটি দেশের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আমি যেমনটা বলেছি— আমরা কখনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে বিষয়টি নিয়ে কথা বলি না। সাধারণ অর্থে এ কথাটা বলা হয়ে থাকে, নিষেধাজ্ঞাকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর বাইরে আমাদের আরও কিছু হাতিয়ার রয়েছে, যেমন- সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা, মিত্র দেশগুলোকে এ বিষয়ে আমরা তথ্য দিয়ে থাকি, যাতে করে তারা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।

মিলার আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারকে বলবো, তারা যেন নিজেরা দেশের দুর্নীতিবাজদের নির্মূল করে। আর সেটা যেন হয় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পন্থা অবলম্বন করে।

সোমবার (৭ আগস্ট) ঢাকাস্থ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিভাগের সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউ। বৈঠকের পর ১১ জনের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আসছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বৈঠকে রিচার্ড নেফিউ বলেছেন, স্যাংশনস ইজ অ্যা টুল (নিষেধাজ্ঞা একটি হাতিয়ার)।’

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন