পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই দলের প্রধান ইমরান খানকে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটি আদালত। রায়ের কয়েক ঘণ্টার পর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে, ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের বিষয়টিকে পাকিস্তানের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
রোববার (৬ আগস্ট) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, ইমরান খান ও পাকিস্তানের অন্যান্য রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে মামলা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক নীতি ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে আহ্বান জানাই।
এর আগে, শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে ইসলামাবাদের একটি আদালত তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দণ্ড ঘোষণার পর তাৎক্ষণিকভাবে ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এরপরেই দেশটির লাহোরের জামান পার্কের বাসভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলায় ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় পাওয়া উপহার রাষ্ট্রীয় তোশাখানায় জমা না দিয়ে বিক্রির অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে, গত ৯ মে অন্য একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠে গোটা পাকিস্তান। পরে দুদিনের মাথায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত বছর অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন ইমরান খান। এরপর তিনি ও তার দল নতুন নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আসছেন। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও সেনাবাহিনীকে দায়ী করেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
পূর্বকোণ/এসি