সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মীদের কর্মক্ষেত্র সুরক্ষায় নতুন নিয়ম করেছে দেশটির সরকার। নারীদের সামাজিক নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে নতুন এ আইন প্রয়োগের কঠোরতার কথা বলা হয়েছে। গৃহকর্মীর সঙ্গে খারাপ আচরণ ও চুক্তির বাইরে কাজ করানো হলে বিধান রাখা হয়েছে নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ারও।
নতুন আইন অনুযায়ী, কোনো মালিক বা নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে যদি তার গৃহকর্মীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে, সেক্ষেত্রে যে নিয়োগ সংস্থার মাধ্যমে ওই গৃহকর্মী চাকরি পেয়েছেন- সেই সংস্থাকে কমপক্ষে ৫৭ হাজার ৮৭০ টাকা (২ হাজার রিয়াল) জরিমানা গুনতে হবে। এছাড়া ওই সংস্থার কর্মকাণ্ডে এক বছরের নিষেধাজ্ঞাও দিতে পারবেন আদালত।
অন্যদিকে, যদি কোনো গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গ, মালিকের সম্পত্তি ও পরিবারের সদস্যদের ক্ষয়ক্ষতি সাধনের প্রমাণ পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে ওই গৃহকর্মীকে সর্বোচ্চ ৫৭ হাজার ৮৭০ টাকা (২ হাজার রিয়াল) জরিমানা ও সৌদি আরবে কাজের ক্ষেত্রে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।
বস্তুত, সৌদি আরবের গৃহকর্মীদের প্রায় সবাই বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ এশিয়ার দরিদ্র বিভিন্ন দেশ থেকে অভিবাসী হিসেবে যান। এই অভিবাসীদের ৯০ শতাংশেরও বেশি নারী।
সৌদিতে গৃহকর্মীদের নির্যাতন ও বঞ্চনা প্রায় নিয়মিত একটি ঘটনা। নির্যাতন-বঞ্চনার শিকার হয়ে প্রতি বছরই দেশটি থেকে অনেক গৃহকর্মী নিজ দেশে ফিরে যান। অনেকের মৃত্যুও হয় মালিক ও তার আত্মীয়দের নির্যাতনের কারণে।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ