মাত্র ৭ মাস বয়স। জন্মের সময় তার মা মারা যায়। এই বয়সী একটা শিশুর পেটে দুই কেজি ওজনের একটি ভ্রূণ। বিষয়টি আশ্চর্যজনক হলেও এমন ঘটনাই ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের প্রয়াগরাজে সরোজিনী নাইড়ু শিশু হাসপাতালে।
হাসপাতালের চিকিৎসক ডি কুমার বলেন, শিশুটির পেট অস্বাভাবিক ফোলা ছিল এবং প্রচণ্ড ব্যথা করছিল। প্রাথমিক পরীক্ষা ও সিটি স্ক্যান করে প্রকৃত বিষয়টি ধরা পড়ে। দেখা যায়, শিশুটির তলপেটে রয়েছে একটি ভ্রূণ। শিশুটিকে জন্ম দেওয়ার সময়ই তার মা মারা যান বলে জানান ডাক্তার কুমার। তিনি বলেন, শিশুটি এখন সুস্থ রয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে জানা যায়, মাত্র সাত মাস বয়সী এক শিশুর পেট থেকে চিকিৎসকেরা দুই কেজি ওজনের একটি ভ্রূণ অপসারণ করেছেন। দীর্ঘ চার ঘণ্টার সফল অস্ত্রোপচারে ভ্রূণটি অপসারণ করতে সক্ষম হন চিকিৎসকেরা।
শিশুটির বাবা প্রতাপগড় জেলার কুণ্ডা এলাকার একজন কৃষক। গত ২৪ জুলাই তিনি সন্তানকে স্বরূপ রানী নেহরু হাসপাতালে নেন। এরপর তাঁকে সরোজিনী নাইড়ু শিশু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায়, ভ্রূণের ভেতর ভ্রুণ মূলত যমজ সন্তান ধারণেরই একটি ধরন। এ ধরনের ক্ষেত্রে একটি ভ্রূণের ভেতর আরেকটি ভ্রূণ অনেকটা পরজীবীর মতো বড় হতে থাকে। যখন একজন মা যমজ সন্তান ধারণ করেন তখন ‘প্রাকৃতিক ভুলে’ একটি ভ্রূণ আরেকটি ভ্রূণের ভেতর বেড়ে উঠতে থাকে।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ