চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

পাকিস্তানের সংসদ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা শেহবাজের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৩১ জুলাই, ২০২৩ | ১২:৪২ অপরাহ্ণ

পাকিস্তানে ঘনিয়ে আসছে জাতীয় নির্বাচন। একইসঙ্গে বর্তমান সরকারের মেয়াদও শেষ হতে চলেছে। সংবিধান অনুযায়ী, মেয়াদ শেষের পর নির্বাচন আয়োজনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

এই পরিস্থিতিতে আগামী ১২ আগস্টের আগেই পাকিস্তানের সংসদ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।

সোমবার (৩১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিত্র দলগুলোর সাথে পরামর্শের আলোকে আগামী ১২ আগস্টের আগে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। জিও নিউজ প্রোগ্রামে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।

রোববার দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে শেহবাজ বলেন, জাতীয় পরিষদের মেয়াদ ১২ আগস্ট শেষ হবে এবং তার আগেই সংসদ ভেঙে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এরপর নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে।

শরিফ আরও বলেন, জাতীয় পরিষদের বিরোধী দলের নেতার সাথে পরামর্শ করে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং তার আগে তিনি সমস্ত মিত্র দল ও পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এন) নওয়াজ শরিফের সাথেও এই বিষয়ে পরামর্শ করবেন।

এদিকে পৃথক এক প্রতিবেদনে দ্য ডন জানিয়েছে, বর্তমান অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করার বিরোধিতা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ। নির্বাচন নিয়ে যেন প্রশ্ন না ওঠে সেজন্য এই পদে নিরপেক্ষ কোনও ব্যক্তিকে চাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

এর আগের দিন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তীব্র সমালোচনা করেন শেহবাজ। এমনকি গত ৯ মে সামরিক নেতৃত্বের পতনের লক্ষ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনার পেছনে ইমরানকে ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলেও তিনি অভিহিত করেন।

শেহবাজ শরিফ আরও বলেন, পিটিআই কর্মীদের পাশাপাশি একদল রাজনীতিবিদ, কিছু সামরিক ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারও ৯ মের সহিংসতায় জড়িত ছিল।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ওই দিনটিকে পাকিস্তানের ইতিহাসে ‘কালো দিবস’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে।

জিও নিউজের অনুষ্ঠানে শেহবাজ শরিফ বলেন, ৯ মের ঘটনার সাথে যারা জড়িত তারা সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাত করতে চেয়েছিল। চক্রান্তকারীরা দেশে ‘অরাজকতা’ এবং ‘যুদ্ধ’ চেয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি।

এআরওয়াই নিউজের খবরে বলা হয়েছে, গত ৯ মে মামলার ঘটনায় পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের পাঁচটি বড় শহরে ২ হাজার ১৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও পিটিআই বিরোধিতা করছে যে, দলটির সদস্যরা হামলায় জড়িত ছিল না, তবে সরকার এবং সামরিক বাহিনী সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলে আসছে, তাদের জড়িত থাকার ‘অকাট্য প্রমাণ’ রয়েছে।

 

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন