গত সপ্তাহে ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বোমা দেওয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। আর এ ঘোষণার ছয়দিনের মধ্যে ইউক্রেনে পৌঁছে গেছে মার্কিনিদের এ বিপজ্জনক বোমা।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জুনের প্রথম সপ্তাহে দখলকৃত স্থান থেকে রুশ সেনাদের হটিয়ে দিতে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইউক্রেন। তবে তাদের এ অভিযান প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। কারণ ইউক্রেন পাল্টা আক্রমণ শুরুর আগেই দখল করা অঞ্চলগুলোতে শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে রুশ সৈন্যরা।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, রুশ সেনাদের এই প্রতিরোধ ভাঙার জন্য এখন সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র হবে ক্লাস্টার বোমা।
তবে এই বোমাটির ব্যবহার বিশ্বের ১২০টি দেশে নিষিদ্ধ রয়েছে। কারণ বোমাটি বেসামরিক মানুষের জন্যও বিপদের কারণ হতে পারে। ক্লাস্টার বোমা রকেট সদৃশ একটি কাঠামোর ভেতর থেকে।
এমন একটি বোমার ভেতর অনেকগুলো ছোটো ছোটো বোমা থাকে। যখন বোমাটি ছোড়া হয় তখন ছোটো বোমাগুলো মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছড়ে পড়ে এবং একের পর এক বিস্ফোরিত হতে থাকে।
তবে এ বোমার বিপজ্জনক দিক হলো—ছোটো বোমাগুলোর সবগুলো সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরিত হয় না। আর অবিস্ফোরিত এ বোমাগুলো কয়েক বছর পর্যন্ত অক্ষত থাকতে পারে। ফলে যুদ্ধকালীন ও যুদ্ধপরবর্তী সময়ে যদি বেসামরিক কোনো মানুষ এগুলোর কাছে যান, তাহলে বোমা বিস্ফোরিত হয়ে প্রাণহানি ঘটতে পারে।
ইউক্রেনকে এ অস্ত্র দেওয়ার আগে কয়েকমাস বিষয়টি পর্যালোচনা করেন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা। এরপর গত সপ্তাহে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে কিয়েভকে ক্লাস্টার বোমা দিতে সম্মত হন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্র এখন দাবি করছে, তারা ইউক্রেনে যে বোমা পাঠিয়েছে, সেগুলোর অবিস্ফোরিত থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।
দেশটি আরও জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনকে কয়েক হাজার রাউন্ড ক্লাস্টার বোমা দেবে। তবে সংখ্যাটি ঠিক কত সেটি তারা প্রকাশ করেনি।
মার্কিন জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের অপারেশন্স পরিচালক লেফটেনেন্ট জেনারেল ডগলাস সিমস বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ মুহূর্তে ইউক্রেনে ক্লাস্টার বোমা পাঠানো হয়েছে।’ তবে ইউক্রেনীয়রা এ বোমা ব্যবহার শুরু করেছে কিনা সেটি নিশ্চিত নয়। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
পূর্বকোণ/এসি