বাংলাদেশের আলোচিত ধর্মীয় বক্তা এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর একটি অনুষ্ঠান বাতিল করেছে লন্ডনের স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয় সময় বুধবার (২১ জুন) যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনের রয়্যাল রিজেন্সি কনফারেন্স হলে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু দেশটির মূলধারার গণমাধ্যম জিবি নিউজে এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীকে নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে আব্বাসীর বিরুদ্ধে ‘ঘৃণা ছড়ানোর’ অভিযোগ ওঠে। এরপর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ওই অনুষ্ঠান বাতিল করে দেয়।
জিবি নিউজ জানায়, নিউহ্যাম কাউন্সিলকে আব্বাসীর বিভিন্ন বক্তব্য শোনানো হয়। যেখানে তিনি বলেছিলেন, যারা মুহাম্মদ সা.-এর সমালোচনা করে তাদের মাথা ‘কেটে ফেলতে হবে’। ৯/১১ সন্ত্রাসীদের প্রশংসা করা উচিত।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে আসার পর প্রথমে বার্মিংহামে বক্তব্য দেন। যুক্তরাজ্য সফরের অংশ হিসেবে তিনি নটিংহ্যামেও বক্তব্য রাখেন।
তবে, বাংলাদেশের এই বিতর্কিত ধর্মীয় বক্তাকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার কারণে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্মীয় বক্তা আব্বাসী ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে নিন্দা করেছিলেন। তিনি বিবর্তনবাদকে অস্বীকার করে চার্লস ডারউইনকে ‘গাঁজাখোর’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
আব্বাসীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ৯/১১ হামলার সংগঠক ওসামা বিন লাদেন ও তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের প্রশংসা করে বলেছিলেন, ৫০ বছর সাধনার পরও লাদেন ও ওমরের জুতা বহন করার যোগ্যতা কারোর হবে না।
একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশি যিনি জিবি নিউজকে আব্বাসীর এসব বক্তব্যের বিষয়ে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এটা জেনে ভালো লাগছে যে নিউহ্যাম কাউন্সিল আব্বাসীর অনুষ্ঠান বাতিল করেছে। কারণ তার বক্তব্য ব্রিটিশ সমাজের জন্য সম্ভাব্য হুমকি। কোনো বিদ্বেষী ধর্ম প্রচারককে ব্রিটেনে আসতে দেওয়া উচিত নয়; যারা উগ্রবাদী ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি ব্যবহার করে কোনো জাতি বা সম্প্রদায়কে উগ্রবাদী, উৎসাহিত বা প্রভাবিত করতে পারে।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, আমাদের সমাজে চরমপন্থার কোনো স্থান নেই। বিভেদ ও ঘৃণার বীজ বপনকারীদের মোকাবিলা করতে আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, স্থানীয় সম্প্রদায় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করি।
পূর্বকোণ/এএইচ