যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের চীন সফর নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক এটিকে ‘ভিক্ষার সফর’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তার দাবি, চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে চীনকে দমাতে না পেরে উত্তেজনা নিরসনে— ‘শান্তি ভিক্ষা’ করতে চীনে গিয়েছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
উত্তর কোরিয়ার বার্তাসংস্থা কেসিএনএ-এর সঙ্গে এক টকশোতে জং ইয়োং হাক নামের ওই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেছেন, ‘চীনের ওপর চাপ প্রয়োগ করলে এবং দেশটিকে আটকে রাখার চেষ্টা করলে— তা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ওপরই উল্টো বড় ধাক্কা দিতে পারে— এমন আশঙ্কা থেকে উত্তেজনা নিরসনে ব্লিঙ্কেন শান্তি ভিক্ষা করতে গিয়েছিলেন।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘এক কথায়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সফর উস্কানিদাতাদের মানহানিকর ভিক্ষা সফর ছাড়া আর কিছু হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। উস্কানিদাতারা চীনের ওপর চাপ নীতি ব্যর্থ হয়েছে তা স্বীকার করেছে।’
এছাড়া এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক দাবি করেছেন, জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে গঠিত জোট কোয়াড এবং যুক্তরাজ্য-অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে অকাস চুক্তির মাধ্যমে এ অঞ্চলে উত্তেজনা তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক আরও বলেছেন, এটি খুবই অদ্ভুত যে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে এবং এখন তারাই তা নিয়ন্ত্রণের কথা বলছে। যা চরম দ্বৈত আচরণ ও বেহায়াপনা।
এদিকে দুই দিন আগে বেইজিং সফরে গিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন ব্লিঙ্কেন। উত্তর কোরিয়া যেন আর ক্ষেপণাস্ত্র না ছোঁড়ে এবং আলোচনার টেবিলে বসে— সেই ব্যবস্থা করতে জিনপিংয়ের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে যান মার্কিন মন্ত্রী। সূত্র: রয়টার্স
পূর্বকোণ/এসি