ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ২৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। ওড়িশা ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক সুধাংশু সারেঙ্গি এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে অনেকে গুরুতর আহত অবস্থায় রয়েছেন।
এই ট্রেন দুর্ঘটনাকে ২০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে ভয়াবহ বলা হচ্ছে। দুর্ঘটনায় ৮৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে এএফপি জানিয়েছে।
এনডিটিভির খবরে ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনার বরাতে ২৩৮ জন নিহত ও ৮৫০ জন আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে তিনটি ট্রেনের সংঘর্ষ হলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ধারকারীরা দুমড়েমুচড়ে যাওয়া ট্রেনের বগিতে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।
প্রদীপ জেনা আহত ৮৫০ জনকে হাসপাতালে পাঠানোর খবর জানিয়েছেন। ওডিশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তিনি বলেন, উদ্ধারকাজ ও হতাহত ব্যক্তিদের চিকিৎসাকেই এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া একজন স্থানীয় টিভি চ্যানেলকে বলেছেন, দুর্ঘটনার সময় তিনি ঘুমাচ্ছিলেন। যখন ঘুম ভাঙে, তখন তিনি দেখেন, চারপাশে অনেকের মধ্যে তিনি আটকে পড়ে আছেন। হামাগুড়ি দিয়ে তিনি বগি থেকে বের হয়ে আসেন। এ সময় তিনি হাত ও গলায় আঘাত পান।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে রেলওয়ে–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, কলকাতাগামী বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনটি ডাউন লাইনে ছিল। সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে ওডিশার বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় এই ট্রেনের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এর মিনিট পাঁচেক পর আপ লাইন দিয়ে ওই এলাকা পার হচ্ছিল চেন্নাইগামী শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি। হঠাৎ এই ট্রেনের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ সময় পাশের একটি লাইনে আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিল মালবাহী একটি ট্রেন।
করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে প্রথমে বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগিতে আঘাত করে। পরে করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনের কয়েকটি বগি আগে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনের ওপর গিয়ে আছড়ে পড়ে।
পূর্বকোণ/পিআর