দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সিলেবাস থেকে ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা, হিন্দুস্থাঁ হামারা’-র লেখক কবি মোহাম্মদ ইকবালকে নিয়ে লেখা একটি অধ্যায় বাদ দেওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল গতকাল শুক্রবার এ সিদ্ধান্ত নেয়। ।
ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ‘ইকবাল: কমিউনিটি’ অধ্যায়টি বাদ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করে পরিচালন পর্ষদের কাছে পাঠিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিচালন পর্ষদ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আগামী ৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিচালন পর্ষদের সভা হওয়ার কথা আছে।
এখন তাদের এ সুপারিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী পরিষদে উত্থাপিত হবে, তারাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে, বলছেন কর্মকর্তারা।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১৪তম একাডেমিক কাউন্সিল সভায় স্নাতক কোর্সের ওপর আলোচনার সময় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। উপাচার্য যোগেশ সিং বলেছেন, ‘যারা ভারত ভাঙার ভিত্তি তৈরি করেছে’ তাঁদের সিলেবাসে থাকা উচিত নয়।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রমে ষষ্ঠ সিমেস্টারে সিলেবাসে ছিল রাজা রামমোহন রায়, পণ্ডিত রমাবাই, স্বামী বিবেকানন্দ, মহাত্মা গান্ধী, মুহাম্মদ ইকবাল এবং বি আর অম্বেদকরের জীবনী। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলে সিলেবাস থেকে বাদ পড়বে ইকবালের জীবনী।
১৮৭৭ সালে অবিভক্ত ভারতের শিয়ালকোটে জন্ম নেওয়া ইকবাল বিখ্যাত ‘সারে জাহা সে আচ্ছা’ গানের রচয়িতা। আল্লামা ইকবাল নামে ব্যাপকভাবে পরিচিত পাকিস্তানের এই জাতীয় কবি ‘পাকিস্তান ধারণার’ জন্মদাতা হিসেবেও পরিচিত।
পূর্বকোণ/পিআর/পারভেজ